প্রতিবেদন : খসে পড়ল ছদ্মবেশ। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’-এর (Chhatra Samaj) আড়ালে আরএসএসের চক্রান্ত ফাঁস। নবান্ন অভিযানের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারিয়ে গুন্ডামি শুরু ছাত্রনেতা শুভঙ্কর হালদারের। আঙুল উঁচিয়ে চুপ করালেন প্রশ্নকর্তা সাংবাদিককে। প্রবল চাপে পড়ে পুলিশ পারমিশন আছে কি না, সেই প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারলেন না আরএসএস-বিজেপির মদতপুষ্ট ‘ছাত্রনেতা’রা। বরং খোলা বাজারে নবান্ন অভিযানের অন্যতম ‘ছাত্রনেতা’ শুভঙ্কর হালদার নিজেই বলেন, আমি আরএসএস করি। আমার নামে ৩৫টা পুলিশ কেস আছে। জেল খেটেছি। তবে চূড়ান্ত ঔদ্ধত্যে এড়িয়ে গেলেন তাঁর বিরুদ্ধে থাকা যৌননির্যাতনের অভিযোগ। সোমবার নবান্ন অভিযান নিয়ে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কর্মসূচির উদ্যোক্তা পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ। কিন্তু সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রীতিমতো খাবি খেলেন ছাত্রনেতারা। এই অভিযানের অন্যতম উদ্যোক্তা ‘ছাত্রনেতা’ শুভঙ্কর হালদার নিজে একজন যৌননির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত। আবার নিজেই স্বীকার করলেন তিনি স্বয়ংসেবক সংঘের একজন সক্রিয় সদস্য। তাহলে কীভাবে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মিছিলে হাঁটতে পারেন? উত্তর দিতে পারলেন না ছাত্রনেতারা।