প্রতিবেদন : কোনওভাবেই বাংলাকে অচল করতে দেওয়া যাবে না। ২৮ তারিখ সর্বাত্মকভাবে বাংলাকে সচল রাখার চেষ্টা করবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টায় ডাকা বন্ধকে নস্যাৎ করে দেওয়ার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের চার মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু এবং অরূপ বিশ্বাস সাফ জানালেন, মানা হবে না বন্ধ। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, সরকার এই বন্ধ মানবে না। আগামিকাল সারা রাজ্যে জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে। সরকার নিরাপত্তা, আইনানুগ ব্যবস্থা করবে। ক্ষতি হলে সরকার সেদিকটাও দেখবে। বন্ধের নামে সাধারণ মানুষের জনজীবন স্তব্ধ করা বেআইনি। রাজ্য সরকারের সব দফতর খোলা থাকবে। কারও কোনও ক্ষতি হলে সরকার দেখবে। সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে, বাংলাকে সচল রাখতে হবে। পুলিশ আজ যথাসাধ্য শান্ত থেকেছে। কালও জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন-‘বাংলাকে অচল করার চেষ্টা অসমর্থনীয়’, সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
আলাপনবাবু নবান্নে বলেন, সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সরকারের নির্দেশ, অফিস–কাছারিতে অবশ্যই স্বাভাবিকভাবে আসবেন। দোকানপাট খোলা থাকবে। সরকার তার জন্য সকল অনুকূল ও আইনানুগ ব্যবস্থা করবে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে। সকল বেসরকারি বাস–মিনিবাস অপারেটরকেও এই অনুজ্ঞা থাকবে। আজ ছিল রাজ্যে ইউজিসি নেট পরীক্ষা। এখানে বিজেপির এই অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। এ প্রসঙ্গে আলাপন বলেন, আজ সারাদিন ধরে রাজ্যে দফায় দফায় অশান্তির চেষ্টা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে ছাত্রদের প্রতি সহমর্মিতা আছে। অপরদিকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, আজকের বিজেপির শো ফ্লপ শো। রেল পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে। ছাত্র সমাজের নামে প্ররোচনা দিচ্ছে বিজেপি। পুলিশকে অনেক অনেক জায়গায় আন্দোলনের নামে আক্রমণের শিকার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ তার ধৈর্য হারায়নি। চন্দ্রিমার তোপ, ওদের চাহিদা ছিল জীবন্ত লাশ। ওদের বডি চাই, লাশ চাই। সেটা হল না কারণ পুলিশ কখনওই ওদের প্ররোচনায় পা দেয়নি। সাধারণ মানুষও বুঝেছে এর পেছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত ছিল। সাধারণ মানুষ জানে এই বাংলায় বন্ধ হয় না, এখানে বন্ধের রাজনীতি এখানে চলে না। ব্রাত্য বসু জানান, আমি পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে অনুরোধ করব এই বাংলায় উন্নয়নের জোয়ারে কোনও ভাবেই প্ররোচনায় পা দেবেন না। সমস্ত জনজীবন সচল রাখুন। স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, বুধবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি গণপরিবহণ স্বাভাবিক থাকবে। সর্বোচ্চ সংখ্যক সরকারি বাস রাস্তায় থাকবে। বেসরকরি বাস-মিনিবাস পরিষেবাও চালু থাকবে। বেসরকারি বাসের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।