প্রতিবেদন : কিসের ছাত্রসমাজ? মঙ্গলবার সারাদিন ধরে ছাত্রদের আড়ালে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় গুন্ডামি চালাল আরএসএস-বিজেপির ভাড়া করা দুষ্কৃতীরা। বিজেপির গুন্ডারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অশান্তি ছড়াল। এমনকী ভিনজেলা থেকে দুষ্কৃতী আনিয়ে অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করল কুচক্রীরা। বিরোধীদের এই গাজোয়ারি বিশৃঙ্খলাকে এমনই কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মেয়র বলেন, বিজেপি ভেবেছিল ব্যাকডোর দিয়ে নবান্নে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসবে! সে গুড়ে বালি। এক বাপের ব্যাটা হলে বিজেপি একাই নবান্ন অভিযান ডাকত। ওরা ভেবেছিল, ছাত্রসমাজের নাম করে ডাকলে অরাজনৈতিক মানুষও আসবে। তাঁদের ঢাল করে স্বার্থসিদ্ধি করবে। কিন্তু মানুষ সেই চক্রান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন-চক্ষুদান পক্ষ
এদিন ছাত্রসমাজের নামে বিজেপির গুন্ডাদের নবান্ন অভিযান ব্যাহত হতেই মুখোশ খুলে বুধবার বন্ধ ডেকেছে বিজেপি। তিনি বলেন, আমরা সবাই চাই আরজি করের ঘটনায় প্রকৃত দোষীরা কঠোরতম শাস্তি পাক। কিন্তু তার মানে এই নয় যে গোটা বাংলাকে স্তব্ধ করে দিয়ে অরাজকতা তৈরি করতে হবে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আসন্ন পুজোর এই মরশুমে বন্ধের নামে গুন্ডামি করতে চায় বিজেপি। মহানাগরিক আরও বলেন, বন্ধ এখন ইতিহাস হয়ে গিয়েছে। বাংলায় আর বন্ধ হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর গত ১৩ বছরে বন্ধ হয়নি। বামফ্রন্ট যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধও বিদায় নিয়েছে। বাংলা এখন শুধুই এগিয়ে চলবে উন্নয়নের দিকে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, সন্দীপরঞ্জন বক্সি, অসীম বসু, তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী-সহ অন্যরাও।মেয়রের