পকসো মামলায় নির্যাতিতাদের একাধিকবার আদালতে তলব অনুচিত, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

প্রসঙ্গত, ওড়িশার নয়াগড়ের একটি পকসো মামলায় ওড়িশা হাইকোর্ট এবং নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে একটি আবেদনের শুনানির সময় এমন কথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট।

Must read

শীর্ষ আদালতের (Supreme court) মতে পকসো (POCSO) অর্থাৎ শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের মামলায় নির্যাতিতা নাবালিকাদের একাধিকবার সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো উচিত নয়। একটি মামলায় রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার নেতৃত্বে একটি বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ এই জাতীয় ঘটনায় শিশুরা এমনিতেই মানসিকভাবে সংবেদনশীল হয়ে থাকে। যেকোন রকম আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন শিশুদের মানসিকভাবে আঘাত পাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, ওড়িশার নয়াগড়ের একটি পকসো মামলায় ওড়িশা হাইকোর্ট এবং নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে একটি আবেদনের শুনানির সময় এমন কথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক নাবালিকাকে অপহরণ করে তাকে জোর করে একটি মন্দিরে বিয়ে করে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় বাবা-মা নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেন। ২০২০ সালে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারা, পকসো আইন এবং বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ আইনের অধীনে মামলা রুজু করা হয়।

আরও পড়ুন-গুজরাটের বন্যায় আটকে থাকা ভারতীয় ক্রিকেটার রাধা যাদবকে উদ্ধার করল এনডিআরএফ

বিশেষ আদালত অভিযুক্তের একটি আবেদন খারিজ করে এবং পকসো আইনের ৩৩(৫) ধারা উল্লেখ করে বলে, যে কোনও শিশুকে বারবার আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো অনুচিত। নিম্ন আদালতের সেই সিদ্ধান্ত বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্ট শিশুদের যৌন অপরাধ থেকে বাঁচাতে এবং সঠিক বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে পকসো আইনের গুরুত্ব স্পষ্ট করে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন নির্যাতিতাদের মানসিক সুস্থতার ওপর জোর দিতে হবে এমন কথাও জানিয়ে দেয়।

Latest article