গুজরাটে (Gujrat) লাগাতার বৃষ্টির ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯। গত কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও জলমগ্ন হয়ে থাকার কারণে রাজ্যজুড়ে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘরছাড়া ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই অবস্থায় জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গুজরাটের ১১টি জেলায় এই বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই মৌসম ভবনের তরফে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে ২২ জেলায়। নতুন করে বৃষ্টি বাড়লে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে একপ্রকার বিপর্যস্ত গুজরাটের জনজীবন। একের পর এক এলাকা জলে ডুবে যাচ্ছে। মৌসম ভবনের তরফে আজ কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দ্বারকা, মোরবি, জামনগর, সুরেন্দ্র নগর, জুনাগড়, রাজকোট, আমরেলি, ভাবনগর সহ একাধিক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামিকালও বৃষ্টি চলবে বলেই খবর।
আরও পড়ুন-পকসো মামলায় নির্যাতিতাদের একাধিকবার আদালতে তলব অনুচিত, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
রাজ্য এমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার জানায় এবারে বৃষ্টিপাত তুলনায় ১০৫ শতাংশ বেশি হয়েছে। এরফলেই এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। রাজ্য সরকার তরফে খবর ১৪০টি জলাধার-বাঁধ ও ২৪টি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। লাগাতার বৃষ্টির কারণে আজওয়া ও প্রতাপপুরা জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। এরপরেই বিশ্বমৈত্রী নদীর দুই ধারের এলাকাগুলি প্লাবিত। ভাদোদরা সহ একাধিক শহরে কমপক্ষে ১০-১২ ফুট জল জমে রয়েছে। রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা ও উপকূল রক্ষী বাহিনীকেও ডাকা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সেনাবাহিনীকে।