সংবাদদাতা, বারাকপুর : ধর্ষণ খুনের ঘটনাকে সামনে রেখে বঙ্গ বিজেপি নেতারা মুখে ব়ড বড় কথা বলছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছে। এদিকে, তাদের দলেরই বুথ সভাপতিকে গণধোলাই দিল আমজনতা, রাতভর বাড়িতে আয়াকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে। এবার কোন মুখে কথা বলবে বেহায়া বিজেপি?
আরও পড়ুন-‘ধন্য’, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তাল পানিহাটি। সেখানে আয়াকে বাড়িতে আটকে রাতভর যৌননির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বিজেপি নেতা পানিহাটি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি স্পন্দন দাস। মদ্যপ অবস্থায় ওই বিজেপি নেতা কাজের প্রলোভন দেখিয়ে মহিলাকে আটকে রেখে সারারাত ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পানিহাটির কালীতলা রামকৃষ্ণ পল্লি এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তকে এদিন বারাকপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত বিজেপি নেতা স্পন্দন পেশায় মুহুরি হলেও নিজেকে আইনজীবী বলে পরিচয় দেয়। তার মা অসুস্থ এবং তাঁকে দেখাশোনার জন্য বিভিন্ন সময়ে বাড়িতে মহিলা আয়া নিয়ে আসত ওই বিজেপি নেতা। বুধবার টালিগঞ্জের ২০ বছর বয়সি এক তরুণীকে নিয়ে আসা হয় এবং মদ্যপ অবস্থায় তাঁকে সারারাত আটকে রেখে ধর্ষণ ও যৌননির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিজেপি নেতা যখন অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন, সেইসময় ওই যুবতী বাইরে বেরিয়ে এসে স্থানীয়দের জানায়। সেখান থেকেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায় ঘোলা থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় যুবতীকে। তবে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই স্থানীয়রা বাড়িতে ঢুকে ওই বিজেপি নেতাকে বাইরে বের করে নিয়ে আসে। পালানোর চেষ্টা করলে তাকে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক গণপিটুনিও দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগেও ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মহিলা-নিগ্রহের অভিযোগ ছিল। ওই বিজেপি নেতার ফাঁসির দাবি তুলেছেন তাঁরা।