প্রতিবেদন : কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে অপরাজিত থেকে সুপার সিক্সে উঠল ডায়মন্ড হারবার এফসি (DHFC)। বৃহস্পতিবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব গ্রুপ পর্বে তাদের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বিধাননগর পুরসভা কমপ্লেক্সের মাঠে। পাঠচক্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে লিগের চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডে পৌঁছল কিবু ভিকুনার প্রশিক্ষণাধীন ডায়মন্ড হারবার। গ্রুপ ‘এ’-তে ১২ ম্যাচ খেলে ১০টি জয় ও দু’টি ড্রয়ে সর্বোচ্চ ৩২ পয়েন্ট কিবুদের। এদিন দলের হয়ে দু’টি গোল করেন গিরিক খোসলা এবং নরহরি শ্রেষ্ঠা। পাঠচক্রের একমাত্র গোলদাতা অনুব্রত মাইতি।
আরও পড়ুন- মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমাকে অভিনন্দন অভিষেকের
দু’-একজনের কার্ড সমস্যা থাকায় এবং সামনে আই লিগের তৃতীয় ডিভিশনের ম্যাচ থাকার কারণে কয়েকজন নতুন মুখকেও পরখ করে নেন কোচ কিবু। রক্ষণে দেবদূত পাত্রকে প্রথম একাদশে খেলানো হয়। পরিবর্ত হিসেবে বিশাল দাস এবং মণিপুরী মিডফিল্ডার উইলিয়ামকেও নামান স্প্যানিশ কোচ। পরপর ম্যাচ জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়ে এদিন দাপটেই খেলা শুরু করে ডায়মন্ড হারবার। কিন্তু প্রথম গোলের জন্য ডায়মন্ড হারবারকে অপেক্ষা করতে হয় ৪২ মিনিট পর্যন্ত। গিরিক খোসলা শক্তিশালী হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। গিরিকের গোলেই প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকে ডায়মন্ড হারবার। দ্বিতীয়ার্ধে কিবুর ছেলেরা আরও আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা শুরু করলেও পাঠচক্র প্রতিআক্রমণে লড়াই চালিয়ে যায় ম্যাচে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে। কিন্তু ডায়মন্ড হারবার দ্রুত ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়। ডায়মন্ডের (DHFC) ফুটবলারকে বক্সে ফাউল করা হলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন নরহরি। কয়েক মিনিট পর ব্যবধান কমায় পাঠচক্র। ডায়মন্ড হারবার রক্ষণের ভুলে গোল করে যান অনুব্রত। ৭৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন পাঠচক্রের ডিফেন্ডার বরুণ ওরাওঁ। বাকি সময় ১০ জনে খেলতে হয় তাদের। তবে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ডায়মন্ড হারবার।
ডায়মন্ড হারবারের সহকারী কোচ দেবরাজ চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘সব ম্যাচে সেরা পারফরম্যান্স হয় না। সারা বিশ্বে ফুটবল এভাবেই হয়। আমরা আরও ভাল খেলতে পারতাম। টানা জয় সুপার সিক্সের আগে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আমাদের লক্ষ্য কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। বেশি পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সে যেতে পারছি, এটা ভাল দিক। তবে সামনে কঠিন লড়াই। আমাদের আই লিগ থ্রি-র ম্যাচও রয়েছে। তাই ছন্দ ধরে রাখাটাও চ্যালেঞ্জিং।’’