প্রতিবেদন : কোথাও এমার্জেন্সির বেহাল দশা তো কোথাও আবার সংশ্লিষ্ট বিভাগে গিয়েও মিলছে না চিকিৎসা। মুমূর্ষু রোগী নিয়ে এক ডিপার্টমেন্ট থেকে অপর ডিপার্টমেন্টে উদ্ভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি। আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের খুনের বিচার রোগের পরিবার রাজ্যে বাকি চিকিৎসকদের পাশে থাকলেও চিকিৎসকরা কিন্তু রোগীদের পাশে নেই। এই ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন একটি হাসপাতালের নয়। সামগ্রিকভাবে রাজ্যের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালেই এই চিত্র বর্তমান। আর এর জেরেই রোগীর জীবন এগিয়ে যাচ্ছে বিপন্নতার দিকে। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে দাদাকে নিয়ে এসেছিলেন খিদিরপুরের এক বাসিন্দা। বুকে প্রবল ব্যথা উঠেছিল রোগীর। কার্ডিয়লজি ডিপার্টমেন্টে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। উপরন্ত যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন তাঁরা নিজেদের মধ্যে ছুটি ভাগ করতে ব্যস্ত ছিলেন। বারবার প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দেওয়ার আর্জি জানালেও কোনওরকম সুরাহা মেলেনি। সেখান থেকে বিভাগে নিয়ে গেলেও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের। ইসিজি রিপোর্ট নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও কোনও চিকিৎসক একবারের জন্যও ফিরে দেখেননি। বাধ্য হয়ে দাদার প্রাণ বাঁচাতে বেসরকারি হাসপাতাল ভরসা তাদের। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যাদের সামর্থ্য নেই তাদের কাছে ভরসা একমাত্র রাজ্যের এই সরকারি হাসপাতাল। তাই অসহায় অবস্থায় যদি চিকিৎসকরা তাদের পাশে না থাকেন তাহলে এই গরিব মানুষগুলো কোথায় যাবে? এরকমই হাজারটা প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে রোগীর পরিবার। তাদের একটাই কথা, বিচার চায় সকলেই। কিন্তু তাই বলে রোগীদের প্রাণ বিপন্ন করে অহেতুক আন্দোলন কাজের কথা নয়।
আরও পড়ুন- বিনেশদের মামলায় চাপে ব্রিজভূষণ