প্রতিবেদন : এই হল সিপিএমের আসল রূপ। আরজি করের ঘটনা নিয়ে একদিকে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করছে তারা, আর সিপিএম-শাসিত কেরলে ধর্ষণে অভিযুক্ত নিজেদের বিধায়ককে বাঁচাতে উঠেপড়ে লেগেছে। এক মহিলা শিল্পীর অভিযোগ পেয়ে কোল্লামের সিপিএমের (CPIM MLA Mukesh) অভিনেতা-বিধায়ক মুকেশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে বামশাসিত কেরলের পুলিশ। জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে বিধায়কের বিরুদ্ধে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্য জুড়ে। কেরলের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেছে ধর্ষণে অভিযুক্ত সিপিএম বিধায়কের বিরুদ্ধে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, মুকেশের (CPIM MLA Mukesh) অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেছেন শাসক এলডিএফের আর এক শরিক সিপিআই নেত্রী অ্যানি রাজা। তা সত্ত্বেও লজ্জাঘেন্নার মাথা খেয়ে ক্ষমতাসীন বামজোট এলডিএফের আহ্বায়ক ইডি জয়রাজন বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন, মুকেশের ইস্তফা দেওয়ার কোনও প্রয়োজনই নেই। স্পষ্টতই ধর্ষণে অভিযুক্ত সিপিএম বিধায়ক অভিনেতা মুকেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন জয়রাজন। বিধায়ককে বাঁচাতে আসরে নেমে পড়েছেন ক্ষমতাসীন এলডিএফের আহ্বায়ক। অদ্ভুত অজুহাত খাড়া করছেন। সিপিএমের এই নির্লজ্জ ভূমিকায় বিস্মিত কেরলের রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে বৃহস্পতিবার এই ঘটনা তুলে ধরে মন্তব্য করেছেন, মুকেশ সিপিএম বিধায়ক। বাকিটা দেখেবুঝে নিন। সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএমের দিকে আঙুল তুলে তাঁর কটাক্ষ, আজ দেখুন কেরলের সিপিএম বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর হয়েছে। তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন সিপিআই নেত্রী। সত্যিই লজ্জাঘেন্নার মাথা খেয়েছে সিপিএম।
আরও পড়ুন- ভারতে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি