প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার চলতি খরিফ মরশুমে রাজ্যের কৃষকদের সুরক্ষায় ধান এবং ভুট্টাকে বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের আওতায় এনে বিমা করার দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। ভুট্টার ক্ষেত্রে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এবং ধানের ক্ষেত্রে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিমা করা যাবে বলে কৃষি দফতর থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে শিলাবৃষ্টি, ভূমিধস, বন্যা, জল জমা এবং ফসল কাটার পরে খামারজাত করার আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এই প্রকল্পে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পে রাজ্য সরকার বিমার প্রিমিয়ামের সম্পূর্ণ খরচ বহন করে।
আরও পড়ুন-৮৭১৯ মামলায় সাজা ২২২ জনের, ইউএপিএ কি বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অস্ত্র?
সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি এবং আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার বাংলা শস্যবিমার ব্যাপ্তি বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে। এজন্যই কৃষি দফতর চলতি মাস থেকে জেলায় জেলায় শিবিরের আয়োজন করবে। প্রয়োজনে যা সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি অবধি চালানো হবে। এই মর্মে কৃষি দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত কৃষককেই বিমার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এজন্য জেলাগুলিকে লক্ষমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জেলাগুলির ব্লক অফিসের পাশাপাশি অন্য কোথাও ক্যাম্প করা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গেছে। ২০১৯ সালে বাংলা শস্যবিমা প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণস্বরূপ ২২৮৬ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে ৮৫ লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছেন। গত খরিফ মরশুমের জন্য বাংলা শস্যবিমা যোজনা প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকার শস্যহানি বাবদ ১১ লাখ কৃষকদের ১০২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ইতিমধ্যেই উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-মহিলা কলাকুশলীদের নিরাপত্তায় চালু ফেডারেশনের ‘সুরক্ষা বন্ধু’
এবছর বেশি সংখ্যক চাষি আলু চাষে বিমা করেছিলেন। তাঁর সুফল তাঁরা পেয়েছেন। ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ রাজ্যের চাষিরা পেয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষিরাও যাতে ক্ষতিপূরণ পান তার জন্য জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে শিবির করার ওপর জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার প্রতিটি জেলাতেই বেশি সংখ্যক চাষিকে বিমা করানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। কবে কোথায় ক্যাম্প হবে, তা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠকে বসে ঠিক করবেন। সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকায় মাইকে প্রচারও করা হবে।