আরজি কর হাসপাতালের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হয়েছিল নবান্ন (Nabanna) অভিযান। সেখানে পুলিশের উপর আক্রমণ তো ছিলই সাথে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি হয়। এদিনের ঘটনায় এক পুলিশ অফিসারের বাঁ–চোখ জখম হয়েছে। দেবাশিস চক্রবর্তী নামের ওই সার্জেন্ট দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নবান্ন অভিযান থেকেই শিক্ষা নিয়েছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশের সব গাড়ির সামনে এবং পিছনে—সমস্ত জানলায় শক্ত জাল লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হল লালবাজারের তরফে।
আরও পড়ুন-আমেরিকা-ইরাকের যৌথ অভিযান, খতম ১৫ আইএস জঙ্গি
জাল লাগানো থাকলে ইট ছুঁড়লেও গাড়ির এবং গাড়িতে থাকা পুলিশের কোনও ক্ষতি হবে না। এবার এই পদ্ধতি বাস্তবায়িত করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই লালবাজারের ট্রান্সপোর্ট বিভাগের পক্ষ থেকে সব থানা, সহকারি নগরপাল এবং ডিভিশনের উপ–নগরপালদের কাছে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ পালন করা হয়েছে কিনা সেটা আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জানাতে হবে। কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকটি প্রিজন ভ্যান এবং গাড়িতে এমন লোহার জাল লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-২৫০ হামাস জঙ্গিকে খতম করে আপাতত যুদ্ধে ইতি ইজরায়েলের
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান ‘শান্তিপূর্ণ’ হবে বলেই জানানো হয়। কিন্তু সেদিনের ছবি ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। ইট–পাটকেল থেকে শুরু করে লাঠি, বোতল নিয়ে আন্দোলনে দেখা যায় সমর্থকদের। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নবান্ন অভিযানের দিন আন্দোলকারীদের হামলায় জখম হয়েছেন ৩৬ জন পুলিশকর্মী। তাই পুলিশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এবার লালবাজারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশে বলা হয়েছে, পুলিশের গাড়িতে এই লোহার জাল লাগাতে হবে।