প্রতিবেদন : আরজি করে নৃশংস কাণ্ডের পর পেরিয়েছে ২৩টা দিন। এতদিনের মধ্যে যেমন সিবিআইয়ের তদন্তে কোনও দিশা নেই ঠিক তেমনই জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতেও লাগাম নেই। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের আন্দোলনের নামে কর্মবিরতি চলছেই। রাজ্য সরকার-সহ প্রশাসন এমনকী শীর্ষ আদালতের আবেদনকে পাত্তা না দিয়েই চলছে কর্মবিরতির নামে রোগীদের সঙ্গে প্রহসন। প্রত্যেকদিন রোগী হয়রানির ছবি স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ পাচ্ছেন তারিখ পে তারিখ, আবার কেউ সরাসরিই প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন। যে তারিখে ভর্তি নেওয়ার আশা দেওয়া হচ্ছে সেই দিন এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীকে। অসহায় রোগীদের পরিবারগুলোর দাবি, আন্দোলন চলুক কিন্তু তার সঙ্গে মানবসেবাও চলুক। পরিষেবা দিয়েই বিচার চাওয়া হোক। ন্যায় বিচার চাইতে গিয়ে বাকি রোগীরা পরিষেবা পাবেন না এমনটা তো হতে পারে না। সিনিয়র চিকিৎসকরা পরিষেবা দিলেও তা যথেষ্ট নয়।
আরও পড়ুন-বিজেপি-রাজ্যে বাংলার শ্রমিক খুন, পরিবারের পাশে তৃণমূল
হাসপাতালে দিনভর আসতে থাকা এত রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া শুধুমাত্র সিনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে বারবার কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, দোষীর উপযুক্ত শাস্তি-সহ তাঁদের সব দাবি না মানা হলে কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ‘অভয়া ক্লিনিক’ নামে স্বাস্থ্য শিবির করছেন কিছু চিকিৎসক। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তাঁরা এই রকম ক্যাম্প করে পরিষেবা দেওয়ার থেকে হাসপাতালে, যেখানে আসলেই পরিষেবা দেওয়া দরকার, যেখানে রোজ এত এত রোগী আসছেন দূরদূরান্তের জেলা থেকে, সেখানে কেন তাঁরা যথাযথ পরিষেবা দিচ্ছেন না? সরকারি হাসপাতালগুলোতে যদি আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা যথেষ্ট পরিষেবা দেন তাহলে এত রোগীকে হয়রানির শিকার হয়ে ফিরে যেতে হয় না।