চার বছর ধরে দেশের সবথেকে বেশি শিশুদের যৌন নির্যাতন (Sexual abuse of Children)। সবার উপরে থাকা ৩ রাজ্যই গেরুয়া শিবিরের দখলে। কলকাতায় আর জি করের ঘটনা নিয়ে বাংলায় নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতির খেলায় নামা বিজেপি নিজেদের রাজ্যগুলির দিক থেকে নজর ঘোরাতেই কী বাংলার ঘটনার উপর বেশি নজর দিচ্ছেন, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
কেন্দ্রীয় সরকার প্রকাশিত সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনায় পকসো আইনে মামলা রুজু হওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। সেখানে চার বছরে এই অপরাধের সংখ্যা কমার বদলে নিয়ম করে বেড়ে গিয়েছে। ২০১৯ সালে যে ধারায় উত্তরপ্রদেশে মামলা রুজু হয়েছিল ৭ হাজার ৫৯৪টি, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ১৩৬টি।
আরও পড়ুন- হাহাকার রোগীদের, পরিষেবা না পেয়েই ফিরছেন হাসপাতাল থেকে
এই চার বছরে গোটা দেশে পকসো ধারায় মামলার সংখ্যা ৪৭ হাজার ৩২৪টি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ৪১৪টিতে। যার মধ্যে একটা বড় ‘অবদান’ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির। উত্তরপ্রদেশের পরেই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। সেখানে ২০১৯ সালে পকসো ধারায় মামলা ছিল প্রায় ছয় হাজার। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭ হাজার ৫৭২টি। তৃতীয় স্থানে আরেক গেরুয়া রাজ্য মধ্যপ্রদেশ। সম্প্রতি যেখানে আগাছার মতো গজিয়ে ওঠা বেসরকারি হোম দেখে চিন্তায় পড়েছে খোদ কেন্দ্রের শিশু অধিকার কমিশনও।
তবে শুধু শিশুদের (Sexual abuse of Children) উপর অপরাধের ঘটনাই নয়, সেই সব অভিযোগের বিচারেও গোটা দেশে চরম ঢিলেমিতে শীর্ষে বিজেপিসঙ্গী রাজ্য মহারাষ্ট্র। ২০১৯ সালে যেখানে সুপ্রিম কোর্ট পকসো মামলার বিচারের জন্য আলাদা আদালত তৈরি নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সেখানে গোটা দেশে সেই মামলার বিচার প্রক্রিয়ার ঢিলেমিতে দেখা যাচ্ছে প্রতিটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট প্রতি বছর ২৮টির কাছাকাছি মামলার নিষ্পত্তি করতে পারছে। সেক্ষেত্রে বকেয়া মামলার শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্রে এতটাই ধীর গতিতে বিচার পদ্ধতি যে সব বকেয়া মিটতে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মামলার ঢিলেমিতে দ্বিতীয় স্থানে কংগ্রেস শাসিত অন্ধ্রপ্রদেশ ও তৃতীয় স্থানে বিজেপির রাজস্থান।