আর্থিকা দত্ত, জলপাইগুড়ি: কর্মসৃষ্টিতে বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের উদ্যোগে রোজগারের বিকল্প পথ খুঁজে পেয়েছেন অনেকেই। প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারাও স্বনির্ভর হয়েছেন। এবার সরকারের সহযোগিতায় লেবু চাষ করে রোজগারের বিকল্প পথের সন্ধান দিচ্ছেন জলপাইগুড়ির এক কৃষক পরিবারের বধূ। নাম শিল্পী সরকার মন্ডল। কয়েক বছর আগে সযত্নে করা লেবু বাগানে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে লেবু। চাষে এমন সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই উৎসাহিত হয়েছেন। মাঝেমধ্যেই আগ্রহী কৃষকরা এসে দেখে যান লেবু চাষের খেত সাথে সাথে এও জানেন কী পদ্ধতিতে চাষ করলে এমন লাভের মুখ দেখা যায়। কৃষক শিল্পী জমিতে নিজে চাষ করতে পারেনি, তাই চাষের ক্ষেত্রে সাহায্য নিয়েছেন গ্রামের অভিজ্ঞ চাষী রঞ্জিত হালদারের। তার মাধ্যমেই কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি থেকে লেবুর চারা গাছ কিনে এনে জমিতে সঠিক পরিমাণে হাল ও জৈব সার ব্যবহার করে প্রস্তুত করেছেন খেত। এরপর সেই খেতেই তিন ফুট জায়গা ছেড়ে ছেড়ে রোপণ করেছেন লেবুর গাছ।
আরও পড়ুন-রাতের রাস্তায় নিরাপত্তা দেখতে উইনার্স টিমের সঙ্গে পুলিশ সুপার
জানা যায়, চার বিঘা জমি জুড়ে ৩ ধরনের লেবু চাষ করেছেন। এর মধ্যে কিছু গাছ সারা বছর ফল দেয়, আবার কিছু গাছ বছরের দুবার ফল দেয়। তবে আবহাওয়ার উপর নির্ভর করতে হয় গাছের ভাল ফলের জন্য, লেবু চাষে প্রচুর জলের প্রয়োজন তাই কৃত্রিমভাবে জমিতে জল দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন বৃষ্টিরও। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া সেচের সামগ্রী ভীষণভাবে সাহায্য করেছে বলে জানায় কৃষক গৃহিণী। যে সময় ব্লক জুড়েই অন্যান্য কৃষকরা ধারাবাহিকভাবে একই ধরনের চাষ করে আসছেন সে জায়গায় দাঁড়িয়ে লেবু চাষ করে ভাল লাভের মুখ দেখছেন কৃষক গৃহিণী শিল্পী সরকার মন্ডল। আরও জানান তিনি, প্রায়ই বিভিন্ন জায়গা থেকে তার এই লেবু চাষে সফলতা জেনে আগ্রহী কৃষকরা বাগান দেখে পদ্ধতি জেনে যাচ্ছেন লেবু চাষের, তারাও অনুপ্রাণিত হচ্ছে।