প্রতিবেদন : জুনিয়র ডাক্তাররা বিচারের দাবিতে মিছিল করছেন। তাঁদের দাবির প্রতি সহানুভূতি রয়েছে সকলেরই কিন্তু এরপরেও কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সোমবার লালবাজার অভিযানে জুনিয়র ডাক্তারদের ভিড়ে মিশে গিয়ে কামদুনির টুম্পা কয়াল এবং মৌসুমি কয়াল কী করছেন? ডাক্তাররাই বলেছিলেন কোনও রাজনৈতিক রং চান না। তাঁরা তবে বিজেপির নির্দেশে পথচলা মৌসুমি ও টুম্পাকে কী করে তাঁরা এই মিছিলে থাকতে দিলেন? জুনিয়র ডাক্তারদের এই মিছিল নিয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, যেভাবে রাজনৈতিক দলের কায়দায় নগরপালের কুশপুতুল পোড়ানো হল, যেসব স্লোগান উঠল— তা কোনওভাবেই ডাক্তারদের ভাষা হতে পারে না। মুখে রাজনীতির ছোঁয়া চাই না বললেও একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের স্লোগানই বারবারই শোনা গেল। ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলনে এটা না হলেই বোধ হয় ভাল হত।
আরও পড়ুন-রাজনৈতিক রং লাগবে না আন্দোলনে, অভিজিৎ-রুদ্রনীলকে গো ব্যাক স্লোগান
সোমবার দলের পক্ষে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এদিন যে ছবিটা দেখা গেল এটা কোনওভাবেই ডাক্তারি পড়ুয়াদের মানায় না। যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য তাদের ভিতরে আগুন জ্বলছে, সেটা ন্যায্য। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, বিভিন্ন সময় ভুল চিকিৎসা ও চিকিৎসা অবহেলার কোনও অভিযোগ উঠলে হাসপাতাল, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় সবার আগে এই পুলিশ কর্মীরাই সবার আগে এগিয়ে আসেন। ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীর ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তে আপত্তি নেই জানিয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই সেই তদন্তভার নিয়েছে। সিবিআই দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় ২০ দিন কেটে গেলেও এখনও ধোঁয়াশা থেকেই গেছে। নতুন করে কেউ গ্রেফতার হয়নি। ধৃত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশই। ডাক্তারদের একাংশ সল্টলেকের সিবিআই দফতর ঘেরাও করে জবাব চেয়েছে ইতিমধ্যেই। বিচারের জায়গা এখন সিবিআই এবং আদালত। ফলে সেই দিকে জোর না দিয়ে কখনও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, কখনও কলকাতা পুলিশের নগর পালের পদত্যাগ চেয়ে রাস্তায় নামছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এবার জুনিয়র ডাক্তাররাও যে পথে হাঁটলেন আপাতদৃষ্টিতে এতে কোনও রাজনৈতিক ছোঁয়া না থাকলেও সবটাই কি অরাজনৈতিক হল?