মামলার অগ্রগতি কোথায়, ‘বিজেপির নোংরা রাজনীতি’, প্রশ্ন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের

সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) গ্রেফতার হয়েছেন সেটা নিঃসন্দেহে অনেকটাই স্বস্তির কিন্তু আরজি করে চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত ঠিক কত দূর?

Must read

সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) গ্রেফতার হয়েছেন সেটা নিঃসন্দেহে অনেকটাই স্বস্তির কিন্তু আরজি করে চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত ঠিক কত দূর? কলকাতা পুলিশ প্রথমেই এক জনকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু তার পর আর কোন গতি নেই তদন্তের। আরও একবার সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ। দোষীদের চরমতম শাস্তি দাবি করে এদিন তিনি এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোষ্টে লেখেন, ”ঘটনার পরেই আমার প্রথম পোস্ট। সেই অবস্থানেই আছি। সন্দীপ গ্রেফতার দুর্নীতিতে। যা হবার হোক। কিন্তু CBI, মূল ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তের আপডেট কী? KP একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারপর? একা, না চক্র? যত দেরি, তত ন্যায্য প্রতিবাদ, সঙ্গে তত গুজব, কুরাজনীতি। আসল তদন্ত কতদূর, জানানো হোক।”

আরও পড়ুন-নিজ়াম প্যালেসের ৬ তলায় আগুন

এই মর্মে সাকেত গোখেল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ”খুবই গুরুত্বপূর্ণ: আমি আপনার কাছে মাত্র ২ মিনিটের সময় চেয়ে কিছু সত্যি ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে চাই। এটি এমন কিছু যা প্রত্যেকেরই জানা দরকার। কলকাতায় বিজেপি এবং মোদী সরকারের ভয়ঙ্কর খেলাটি বোঝার জন্য এখানে একটি সংক্ষিপ্ত ঘটনাক্রম রয়েছে:

কলকাতার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে। এই মামলাটি প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ নথিভুক্ত করেছিল এবং কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে হস্তান্তর করেছিল। এর সঙ্গে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার কোনো সম্পর্ক নেই

আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলাটি প্রথম সিবিআই’কে দেওয়া হয়। পরে দুর্নীতির এই পৃথক মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।

এখন, কি ঘটছে:

গত ২০ দিন ধরে সিবিআই-এর সম্পূর্ণ নজর ছিল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে “দুর্নীতি” মামলাতে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলা অর্থাৎ আরজি কর ধর্ষণ ও হত্যা মামলার গত ২০ দিনে সিবিআই কোনো তদন্ত করেনি। এখন পর্যন্ত সমস্ত তথ্য এটাই বোঝায় ১২ ঘন্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ ধর্ষণ ও হত্যা মামলার একমাত্র অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। কিন্তু এই নিয়ে সিবিআই কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করেনি।

আশ্চর্যজনক রহস্য:

কেন আরজি কর ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করার জন্য সিবিআই চার্জশিট দাখিল করছে না? চার্জশিট দাখিল হওয়ার পরেও, ধর্ষণ ও খুনের মামলায় আরও কোনও অভিযুক্ত পাওয়া গেলে সিবিআইয়ের কাছে আরও গ্রেপ্তার করার এবং “সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট” দায়ের করার বিকল্প রয়েছে। তাহলে বর্তমান আসামি সঞ্জয় রাইয়ের বিচার দেরি হচ্ছে কেন? কেন সিবিআই আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলা পুরোপুরি পরিত্যাগ করেছে? দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করা সবই ঠিক আছে। কিন্তু ধর্ষণ ও খুনের ভিকটিমকে বিচার না দেওয়ায় কেন অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে?

এবার আসল কারণ জেনে নেওয়া যাক:

সমস্ত মেডিকেল রিপোর্ট এবং মিডিয়াতে সিবিআই সূত্রের প্রকাশিত তথ্য বলছে যে আরজি কর ধর্ষণ ও হত্যা মামলার একমাত্র অপরাধী সঞ্জয় রাই। ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল করলে সিবিআইকে স্বীকার করতে হবে যে কলকাতা পুলিশ ১২ ঘন্টার মধ্যে মামলাটি সমাধান করেছে। সিবিআই যদি আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করে এবং বিচার শুরু হয়, বিজেপির রাস্তায় “বিক্ষোভ” করার আর কোন অজুহাত থাকবে না। তাই, বিজেপির নির্দেশে সিবিআই অভিযোগপত্র দাখিল করতে এবং ধর্ষণ ও খুনের অভিযুক্তদের বিচার করতে দেরি করছে৷ যে ডাক্তারকে নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছিল তাকে ন্যায়বিচার অস্বীকার করা হচ্ছে যাতে বিজেপি বাংলায় তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা চালিয়ে যেতে পারে। বিজেপি স্বভাবসিদ্ধভাবেই মৃত মহিলার দেহ নিয়ে তাদের নোংরা রাজনৈতিক খেলা খেলছে। কিন্তু ভুক্তভোগী ও তার পরিবার ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে মামলাটি চেপে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সকলের দাবি করা প্রয়োজন যে সিবিআই অবিলম্বে আরজি কর কাণ্ডে চার্জশিট দাখিল করুক।”

 

Latest article