“এই বিল একটা ইতিহাস! প্রধানমন্ত্রী পারেননি। আমরা পারলাম। করে দেখালাম। প্রধানমন্ত্রী দেশের লজ্জা! উনি মেয়েদের রক্ষা করতে পারেননি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।“ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ পেশের পরে ভাষণে তীব্র আক্রমণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘দেশের লজ্জা’ বলে কটাক্ষ করেন।
বিধানসভায় ‘অপরাজিতা বিল’ পেশের পরে ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বলেন, “’অপরাজিতা বিল’ একটা ইতিহাস হয়ে থাকল। কেন্দ্রীয় সরকারকে আইন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজটা করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। রাজ্য সরকার করে দেখাল।“ এরপরেই মোদিকে প্রবল আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ‘দেশের লজ্জা’। তিনি দেশের মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারেননি। রক্ষা করতে পারেননি তাঁরা। তাই তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। ইস্তফা দেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরও।
আরও পড়ুন-মেয়েদের অধিকার রক্ষায় ৩ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক দিন: ‘অপরাজিতা’ বিল পেশের পর মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের মধ্যেই বিধানসভায় বিজেপির বিধায়কদের গোলমাল শুরু করেন। তথ্য দিয়ে উত্তরপ্রদেশ-সহ বিজেপি-শাসিত রাজ্যে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, খুনের ঘটনা তুলে ধরেন মমতা। লাগাতার গোলমালের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের দাবি তোলেন বিজেপি বিধায়করা। তখনই সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, “আগে মোদিকে পদত্যাগ করতে বলুন।“
বিরোধীদের কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে কটু কথা বললে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আপনারা যা বলছেন বলুন। কিন্তু বাংলা মা কে বদনাম করবেন না। আপনারা আমাকে যা যা বলছেন, তা যদি আমার দলের লোকেরা প্রধানমন্ত্রী আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, তা হলে কেমন লাগবে?“
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে উন্নাও, হাথরস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উন্নাও, হাথরসে বিচার পায়নি। ইউপিতে একাধিক এই ঘটনা ঘটেছে। উত্তরাখণ্ডে নার্সকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র নাবালিকা, স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ করা হল। আমি বলছি ছি ছি। যারা এটা করেছে তাদের লজ্জা নেই।“
প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠি প্রসঙ্গে মুখ্যরমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে আমি দুটো চিঠি দিয়েছি। তিনি কোনও রিপ্লাই দেননি। তবে একজন নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর মন্ত্রী উত্তর দিয়েছেন। আমি ন্যায় সংহিতা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে বারণ করেছিলাম। আমি একাধিকবার স্বরাষ্ট্র দফতরকে বলেছি। বলেছিলাম নতুন সরকারের সঙ্গে কথা বলতে। আমি চেয়েছিলাম এই আইন কেন্দ্রীয় সরকার করুক। কিন্তু আইনে ফাঁক রাখা হয়েছিল। ধর্ষণের ঘটনায় সাত মাসে জামিন পেয়ে যায়। আর তাদের ফুল মালা পরানো হয়। ভিনেশ দেশের জন্য একটা পদক আনতে পারত। সিপিএম এখন বিজেপির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে।“