মর্মান্তিক ঘটনা মহারাষ্ট্রে(Maharashtra)। গদচিরোলিতে চিকিৎসার অভাবে শেষ হয়ে গেল দু’টি প্রাণ। ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা পরিষেবা। আর তার ফলেই সঠিক সময় পেল না চিকিৎসা দুটি শিশু। অভাবের সংসারে ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে না পারায় অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে তরতাজা দু’টি প্রাণ। সদ্য সন্তান হারানো মা বাবা বাড়ি ফিরতে বিজেপি রাজ্যে পেল না একটি শববাহী গাড়ি। একটা অ্যাম্বুলেন্স বা শববাহী গাড়ির ব্যবস্থাও সেই সময় তাদের জন্য কেউ করে দেয়নি। উপায় না দেখে অগত্যা অসহায় মা বাবা ছেলেদের মৃতদেহ কাঁধে তুলে নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেন। ১৫ কিলোমিটার রাস্তা এভাবেই যান তারা।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে শ্লীলতাহানি স্ত্রীর, অসুস্থ স্বামীকে ছুঁড়ে ফেলে খু.ন
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো। সূত্রের খবর, মৃত কিশোর দু’টির বয়স ১০ বছরেরও কম। বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত ছিল তারা। চিকিৎসার অভাবেই মৃত্যু হয় তাদের। আহেরি তালুকের এই দম্পতি তাদের দুই মৃত ছেলের দেহ কাঁধে করে নিয়ে হাসপাতাল থেকে তাদের গ্রামের বাড়িতে যান। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা বিজয় ওয়াডেত্তিওয়ার এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান ”দুই নাবালকের মৃতদেহ তাদের গ্রাম, পট্টিগাঁওতে স্থানান্তর করার জন্য এখানে কোনো অ্যাম্বুলেন্স বা শববাহী যান ছিল না এবং বাবা-মা বৃষ্টিতে ভেজা পথ দিয়ে ১৫ কিলোমিটার হেঁটে যেতে বাধ্য হয়। গদচিরোলির স্বাস্থ্য পরিষেবার এক ভয়াবহ বাস্তব আজ ফের সামনে এসেছে।”
আরও পড়ুন-‘বাংলাদেশের ভিডিও আপনি পশ্চিমবঙ্গের বলে চালিয়ে দিলেন?’ অমিত মালব্যর ভুয়ো পোস্ট নিয়ে সরব দেবাংশু
প্রসঙ্গত, ১লা সেপ্টেম্বর, বিদর্ভ অঞ্চলে একজন গর্ভবতী আদিবাসী মহিলা তার বাড়িতে একটি মৃত সন্তানের জন্ম দেন এবং তারপরে স্থানীয় হাসপাতালে তাকে নেওয়ার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় না। এরপরেই যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁর মৃত্যু হয়। অমরাবতীর মেলঘাট আদিবাসী অঞ্চলের দহেন্দ্রি গ্রামের কবিতা এ. সাকোল নামে পরিচিত মহিলাটির প্রসবের সময় পেরিয়ে যায় এবং তার পরিবার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স চেয়ে পাঠায়। কিন্তু তারা জানায় কমপক্ষে চার ঘন্টা সময় লাগবে অ্যাম্বুলেন্স পেতে। উপায় না দেখে,কবিতা বাড়িতে প্রসব করেন ও মৃত শিশুর জন্ম হয়। এরপর তাঁর অবস্থারও অবনতি হয়। পরিবারের সদস্যরা একটি ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবস্থা করে এবং তাকে দ্রুত চুরানির একটি গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় কিন্তু অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় তাকে অচলপুর এবং তারপর অমরাবতীতে স্থানান্তরিত করা হয়। শেষ রক্ষা হয় না। রবিবার মৃত্যু হয় মহিলার।