প্রতিবেদন : ঘটনা এক : শ্যামবাজার পাঁচমাথা মোড়। আরজি করের মৃত পড়ুয়ার বিচারের দাবিতে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ-জমায়েত। সেখানে কয়েকজন যুবক স্লোগান দিচ্ছে। তার তালে তালে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকায় আগুন দিয়ে বিকৃত উল্লাস। এরা কারা?
ঘটনা দুই : শ্যামবাজারেই প্রতিবাদে শামিল হতে এসেছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাঁকে শুধু ‘গো ব্যাক’ স্লোগানই দেওয়া হয়েছে তাই নয়, কার্যত ধাক্কা দিতে দিতে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়, কেন এই আচরণ? কারা করল এই কাজ?
ঘটনা তিন : ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে আরজি করে, সেখানে বর্ষীয়সী অভিনেত্রী এলেন, আসতেই ‘চোর চোর’ স্লোগান। কারা এর পিছনে? কাদের মদতে বিচার চাওয়া আন্দোলনের মধ্যে ধান্দাবাজ রাজনীতিতে পদচারণা!
আরও পড়ুন-এখনও নির্যাতিতার নাম-ছবি প্রকাশ্যে, সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়ার ভয়ঙ্করতম মৃত্যু নিয়ে প্রতিবাদ হচ্ছে, হওয়া তাই স্বাভাবিক। তৃণমূল কংগ্রেসও মনে করে যারা এই পাশবিক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের শুধু চিহ্নিত করুক সিবিআই আর সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত তাদের শাস্তি দিক। কিন্তু আন্দোলনের নামে যারা ভোটে হেরে যাবার পর খরকুটোর মতো এই আন্দোলন থেকে ইভিভোট তুলতে ব্যর্থ তাদের চরিত্র একটার পর একটা ঘটনার মধ্য দিয়ে ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরাই বুধবার রাতে উল্লাস আর হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকায় আগুন লাগিয়ে নেচেছে। এরা কিছুতেই নাগরিক সমাজ নয়। নাগরিক সমাজ এই ঘটনা সমর্থন করে না। আবেগকে হাতিয়ার করে এরা আসলে রাজনৈতিক ফায়দা তোলায় ব্যস্ত। এদের চিহ্নিত করুন এরা আসলে বেদনাদায়ক ঘটনাকে হাতিয়ার করে অরাজকতা ছড়াতে চায়, অশান্তি করতে চায়।
শ্যামবাজারে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত কিংবা আরজি করে বর্ষীয়সী অভিনেত্রীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা কি সুস্থতার লক্ষণ? স্লোগান দিয়ে কুকথা কথা বলে, অপমান করে, কার্যত লাঞ্ছিত করা হয়েছে অভিনেত্রীকে। একই কথা প্রযোজ্য বর্ষীয়সী অভিনেত্রীর ক্ষেত্রেও। এটা নিশ্চিতভাবে নাগরিক সমাজের কাজ নয়, দুই জনই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন। সকলে আসতে পারেন এই আন্দোলনে। তাহলে এই আচরণের আড়ালে এরা কারা? নাগরিক সমাজ হতে পারে না। এরা আন্দোলনকে ঢাল করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে নেমেছে, মুখ আর মুখোশ বুঝে নিতে হবে নাগরিক সমাজকে।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে শ্লীলতাহানি স্ত্রীর, অসুস্থ স্বামীকে ছুঁড়ে ফেলে খু.ন
কোচবিহারে পাথরভাঙায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে রাস্তায় কথা লেখা হল। স্বভাবতই প্রতিবাদ হয়েছে প্রতিবাদ হবে। একইসঙ্গে গড়িয়া, রুবি, কিংবা শ্যামবাজারের কেউ কেউ অন্যায্য আচরণের অরাজকতা ছড়াতে চেয়েছে। আবার বলছি এরা নাগরিক সমাজ নয়, জনতার ভোটে হেরে গিয়ে একটি বেদনাদায়ক মৃত্যুকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে যেতে নেমেছে।
তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অনুরোধ নজর রাখুন সচেতন থাকুন প্ররোচনায় প্ররোচিত হবেন না।