প্রতিবেদন : রাজ্য বিধানসভায় ধর্ষণ রুখতে পাশ-হওয়া অপরাজিতা বিলের কপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও পাঠানো হল৷ এই বিল দ্রুত কার্যকর করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে চিঠিও দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে অপরাজিতা নারী ও শিশু (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী) বিল। বিলটিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও পকসো আইনেরও কয়েকটি ধারা সংশোধন করে কঠোরতর বিধি যুক্ত করা হয়েছে। ওই বিল বুধবারই নিয়মমাফিক রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে বিধানসভা সূত্রে জানা গেছে। তবে এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও বিলের একটি করে কপি অবগতির জন্য পাঠানো হচ্ছে বলে বিধানসভা সূত্রে জানা গেছে। একই সঙ্গে তা দ্রুত আইনে পরিণত করার জন্য তৎপর হতে রাজ্য বিধানসভার তরফ থেকেও অনুরোধ করা হচ্ছে বলে খবর।
আরও পড়ুন-ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে বলল এবার আইএমএও
পরিষদীয় রীতিনীতি অনুযায়ী সাধারণত বিধানসভায় যে কোনও বিল পাশ হলেই তা সরাসরি পাঠানো হয় রাজভবনে, রাজ্যপালের স্বাক্ষরের জন্য। রাজ্যপাল চাইলে ওই বিল স্বাক্ষর করে আইনে রূপদান করার জন্য স্বীকৃতি দিতে পারেন৷ অথবা তিনি চাইলে বিল সম্পর্কে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ চাইতেই পারেন। প্রয়োজনে সেটা রাজ্য সরকারের কাছে ফেরত পাঠাতে পারেন। একইভাবে রাজ্যপাল যদি মনে করেন এই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে রাষ্ট্রপতি ভবনেও তা পাঠাতে পারেন। এমনটাই সাংবিধানিক পদ্ধতি৷ তবে প্রধানমন্ত্রীকে বিলের কপি পাঠালেও রাজ্যপালকে উপেক্ষা করা হচ্ছে না৷ মনে করা হচ্ছে, যেহেতু এই বিল শাসক ও বিরোধী উভয়পক্ষই সর্বসম্মতভাবে রাজ্য বিধানসভায় সমর্থন করেছে সেক্ষেত্রে রাজভবন থেকে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে এই বিলের অনুমোদনে সময় লেগে যেতে পারে৷ আগে থেকেই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অবগত থাকলে, পুরো প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব৷ মূলত এই কারণেই সেই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে৷ বিধানসভা সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় বিল অনুমোদনের পর প্রক্রিয়াগতভাবে যা করণীয় তাই করা হয়েছে৷ অর্থাৎ এটি সরাসরি রাজভবনেই পাঠানো হয়েছে।