প্রতিবেদন: যোগীরাজ্যে (Uttar Pradesh) ফের এনকাউন্টার। এবারে এনকাউন্টারের শিকার এক ডাকাত, যার মাথার দাম ছিল ১ লক্ষ টাকা। তবে প্রশ্ন উঠেছে এই এনকাউন্টার কি পুলিশের পূর্বপরিকল্পিত? অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা কি সত্যিই সম্ভব হয়নি পুলিশের? ২৮ অগাস্ট সুলতানপুরের একটি গয়নার দোকানে দুসাহসিক ডাকাতি হয়। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে সোনাদানা এবং নগদ মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকা লুঠ করে চম্পট দেয় ডাকাতদল। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে মিশিরপুর-পুরাইনা গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। ভেতরে লুকিয়ে ছিল ডাকাত দলের মাথা মঙ্গেশ। পুলিশের দাবি মঙ্গেশ এবং তাঁর এক শাগরেদকে আত্মসর্মপণ করতে বলা হলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। গুলি খেয়ে সেখানেই লুটিয়ে পড়ে মঙ্গেশ। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি বন্দুক, গুলি ও গয়না। জৌনপুরের বাসিন্দা মঙ্গেশের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা ঝুলছিল বলে জানা গেছে। এই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আরও ১১ জনকে পুলিশ খুঁজছে। তবে এই এনকাউন্টার নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এটি পূর্ব পরিকল্পিত সাজানো ঘটনা নয় তো পুলিশের?
আরও পড়ুন- প্রতি ১০০ ধর্ষণের ঘটনায় শাস্তিই পান না ৭৪ অভিযুক্ত