গদ্দারদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে নন্দীগ্রামের সমবায়ে জয়

Must read

প্রতিবেদন : পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সমবায় নির্বাচনে বিরোধীদের উড়িয়ে ফের জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। ১২টি আসনের মধ্যে সাতটি আসনে জিতে বাজিমাত করল তৃণমূল। সবক’টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ধরাশায়ী গেরুয়া শিবির। তাঁদের কপালে জুটেছে মাত্র ৫টি আসন। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের চন্দননগর আকন্দবাড়ি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন ছিল রবিবার। সমিতির ৮৫০ জন সদস্য ভোট দেন। রবিবার বিকেলে ফলাফল বেরোলে দেখা যায় তৃণমূল ৭টি ও বিজেপি পেয়েছে ৫টি আসন। ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, নির্বাচনে হেরে বিজেপি গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গদ্দারের বিধানসভা কেন্দ্রের এই সমবায় নির্বাচনে জয় পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবির। কারণ নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের চারটি বুথ এলাকার মধ্যে এই ভোট হয়েছিল। যার মধ্যে তিনটি বুথ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতেছিল পদ্ম শিবির। এমনকী নন্দীগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিজেপি নেতা শ্যামল সাহুর নির্বাচনী এলাকা এটি। এমন এলাকার সমবায় জিতে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল কর্মীরা বিজয় মিছিল করেন। নন্দীগ্রামের জেলা পরিষদ সদস্য তথা শামসুল আলম, নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বিজয় মিছিলে নেতৃত্ব দেন। বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, নন্দীগ্রামের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের পাশেই ছিল এবং এখনও রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হলে নন্দীগ্রামে কী ফলাফল হবে, এই সমবায়ের নির্বাচনই তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল। এলাকার গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করায় সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান নির্বাচনে জয়ী কৌস্তুভ দাস। নন্দীগ্রামের জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শামসুল জানান, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বিজেপি গায়ের জোর দেখানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে। আসলে নন্দীগ্রামে লোডশেডিং বা বিশৃঙ্খলা না হলে বিজেপি কোনও ভোটেই জিততে পারবে না।

আরও পড়ুন: ট্রেনযাত্রা যেন এখন নরকযন্ত্রণা

Latest article