প্রতিবেদন : নষ্ট হয়ে গিয়েছিল একটি কিডনি। ছেলের প্রাণ বাঁচাতে কিডনি দিয়েছিলেন মা। কিন্তু তারপরও শেষরক্ষা হল না। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল হুগলির রিষড়ার তরতাজা যুবক রাজীব দেবের। চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে খালি হয়ে গেল আরও এক মায়ের কোল। শনিবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের ঘটনা। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা সীমা দেব। বলছেন, ডাক্তারদের আন্দোলন কেড়ে নিল আমার ছেলেটাকে। এর বিচার কে করবে? রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে তাঁর পরিবার। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগে চিকিৎসকদের আন্দোলন কেড়ে নিয়েছিল হুগলির কোন্নগরের যুবক বিক্রম ভট্টাচার্যের প্রাণ। সেটা ছিল আরজি করের ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল এসএসকেএম। কিন্তু থামছে না বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু মিছিল। রিষড়ার বাগপাড়ার বছর ৩৩-এর রাজীব কিডনির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এসএসকেএমে। ২০১৪ সালে তাঁকে একটি কিডনি দিয়েছিলেন তাঁর মা। তারপর সুস্থই ছিলেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে চেকআপের জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হত। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ২ সেপ্টেম্বর রাজীব পিজি হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজীব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর পেট অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে যায়। পরিবারের সদস্যরা বারবার ডাক্তারদের অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁদের কথায় কান দেননি কেউই। ভোরের দিকে ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় তরতাজা যুবক রাজীবের। মৃতের মামা রূপক চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা রোগী না দেখে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্য কত মায়ের কোল খালি হয়ে যাচ্ছে। আরজি করে ডাক্তার দিদির মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরাও সমব্যথী। তার জন্য বিচার চেয়ে আমরাও রাত জেগেছি। আজকে আমাদের বাড়ির ছেলেটাই চলে গেল। কোনও চিকিৎসাই পেল না।
আরও পড়ুন: বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা, বিরোধীদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রক্তদান শিবির তৃণমূলের