প্রতিবেদন : বিজেপির রাজ্যে গিয়ে খুন হচ্ছেন বাংলার শ্রমিক। আর ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী সুবিধা পাচ্ছেন। বাংলার তৃণমূল সরকার আর ডবল ইঞ্জিন সরকারের ফারাক তুলে ধরে হরিয়ানায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক খুনের বিচার চাইল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। রবিবার ডোরিনা ক্রসিং থেকে কলেজ স্কোয়ার পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে সরব হলেন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল অনুমোদিত অল বেঙ্গল তৃণমূল জুট অ্যান্ড টেক্সটাইল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি সোমনাথ শ্যাম, আইএনটিটিইউসির উত্তর কলকাতার সভাপতি স্বপন সমাদ্দার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কোর কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ডাক্তারদের আন্দোলন কেড়ে নিল ছেলেকে, বিনা চিকিৎসায় রাজীবের মৃত্যুতে আকুতি মায়ের
এদিন বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলার শ্রমিকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে মিছিলের শেষে পথসভা থেকে ভিনরাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের আক্রান্ত হওয়ায় ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গোটা দেশজুড়ে যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর আক্রমণ, বিশেষত বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বেছে বেছে ক্রমাগত যে বাঙালি শ্রমিকদের উপর হামলা তার প্রতিবাদেই এই মিছিল। বাইরের রাজ্য থেকে আমাদের রাজ্যেও প্রায় ১ কোটি মতো পরিযায়ী শ্রমিক আছেন। কোথাও এমন আক্রমণ হয়েছে বলে জানা নেই। যাঁরা বাইরের রাজ্যের কিন্তু এরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিক মৃত্যুর থেকে শুরু করে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা খুনে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। এমনকী বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনার সময়েও রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ৬ কোটি টাকা ৭০০ পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের হাতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে এই লড়াই চলছে। বাঙালি হওয়া কোনও অপরাধ নয়। বাংলা ভাষায় কথা বলা কোনও অপরাধ নয়। মাছ খাওয়া কোনও অপরাধ নয়।