সুপ্রিম-নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

Must read

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, আন্দোলনরত ডাক্তারেরা স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে যে দাবিগুলি পেশ করেছিলেন, তার সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি, “দয়া করে আপনারা কাজে যোগদান করুন। যদি আপনাদের কিছু বলার থাকে, সবসময় স্বাগত। আপনারা ৫-১০ জনের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে আসুন, আমরা কথা বলতে পারি।”

মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কথায়, “যত আন্দোলন হয়েছে অনুমতি ছাড়া। অনুমতি পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টও ডাক্তারদের অনুরোধ করেছে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। আমিও ডাক্তারদের কাছে অনুরোধ করব কাজে ফেরার জন্য।”

আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের কাজে ফেরার ডেডলাইন বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট

এদিনই মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এর পরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”সেদিন স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল যা যা দাবি করেছিলেন, তার সবটাই মেনে নেওয়া হয়েছে। আপনারা অধ্যক্ষের অপসারণ, MSVP বদল চেয়েছিলেন। তা সঙ্গে সঙ্গে করে দেওয়া হয়েছে। চারটি দাবি ছিল, সব পূরণ করেছি। তা সত্ত্বেও কেন কাজে ফিরছেন না?” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “যত আন্দোলন হয়েছে অনুমতি ছাড়া। অনুমতি নেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টও আজ ডাক্তারদের অনুরোধ করেছে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। আমিও আবার অনুরোধ করব, কাজে ফেরার জন্য।”

এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে কত ক্ষতি হয়েছে? রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারাযণস্বরূপ নিগম জানান, ”৭০০০০০ রোগীকে আউটডোর পরিষেবা দেওয়া যায়নি। ৭০০০০ রোগীকে ইনডোরে ভর্তি করা যায়নি। ৭০০০টি নির্ধারিত সার্জারি বাতিল করা হয়েছে। ১৫০০ জন কার্ডিয়াক রোগীর ক্যাথ ল্যাব সুবিধা দেওয়া যায়নি। আর ২৩ জন রোগী মারা গিয়েছেন।”

মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, ”আপনাদের সব দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে। আসুন না, কথা হবে, আলোচনা হবে। আমরা তো কথা বলতে প্রস্তুত। আমি সিবিআইকে বলছি দ্রুত তদন্ত করে বিচার দিন নির্যাতিতাকে। এখন আমাদের হাতে কিছু নেই। সবটাই সিবিআইয়ের হাতে আছে। তাই জুনিয়র ডাক্তারদের বলব আপনারা কাজে ফিরে আসুন। সামনে উৎসব। উৎসবে ফিরে আসুন। মানুষ যেন চিকিৎসার অভাবে মারা না যান।”

Latest article