প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার বারবার ইতিবাচক আলোচনা চেয়ে পদক্ষেপ করলেও জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে মিলছে না সদর্থক সাড়া। একাধিকবার সরকারের তরফে বৈঠকের জন্য চিঠি অথবা মেল পাঠানো হলেও প্রতিবারই নানা শর্ত চাপিয়ে তা জটিল করে তোলা হচ্ছে। আজ বুধবার দুপুরে ফের ধর্মঘটি জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন, মুখ্যসচিব মনোজ পান্থ। আজ সন্ধ্যা ৬টার সময় আন্দোলনকারীদের ১২ থেকে ১৫ জনের এক প্রতিনিধিদলকে নবান্নে বৈঠকে বসতে আহ্বান জানিয়ে মেল পাঠিয়েছেন তিনি। এই মেলের প্রেক্ষিতে ফের মেল পাঠিয়ে শর্তসাপেক্ষে বৈঠকের কথা বলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ বুধবার মুখ্যসচিবের পাঠানো ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩২ দিন ধরে সাধারণ মানুষ ঠিকঠাক পরিষেবা পাচ্ছেন না। সুপ্রিম কোর্ট যে তাঁদের মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, সেকথাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তিনি লিখেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, ১০ তারিখ বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে এই ধরনের নির্দেশ মেনে চলা উচিত সকলেরই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা মানা হয়নি। আশা করা হচ্ছে, শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আপনারা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কাজে যোগ দেবেন। এর আগে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম মেল করে ডাক্তারদের নবান্নে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্ধে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত নবান্নে অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু ওই মেলে সাড়া দেননি ডাক্তাররা। বৈঠকেও যাননি। যাকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছেন তাঁর মেলে সাড়া দেবেন না। এই ছিল তাঁদের যুক্তি। সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, এদিন ভোর ৩-৫০-এ মেল করে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি ছিল, ১০ জনের বেশি ডাক্তার-প্রতিনিধিকে যেতে দিতে হবে।