রাখি গরাই, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার মধ্যেই আছে স্কটল্যান্ড, রইল তার খোঁজ। ভারতের বুকে স্কটল্যান্ডের আমেজ উপভোগ করতে চান? রাজ্যের বাঁকুড়া জেলাতেই আছে এমন একটি জায়গা যাকে তুলনা করা যায় স্কটল্যান্ডের সঙ্গে। জেলার অন্তর্গত ছোট্ট একটি গ্রামের হ্রদ তালবেড়িয়া। এই হ্রদকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে গ্রামটি। যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য স্কটল্যান্ডের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। বাঁকুড়ার এই এলাকাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটকদের কাছে। নদীর তলদেশে ক্ষয় হতে হতে এই হ্রদের সৃষ্টি। স্থানীয়দের সুবিধার্থে এখানে দেওয়া হয়েছে বাঁধ। বিশেষত শুষ্ক সময়ে অর্থাৎ গরমকালে এলাকায় জলের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে এই হ্রদ। আর বর্ষার সময় আশপাশের এলাকাকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে হ্রদের উপর নির্মিত বাঁধটি।
আরও পড়ুন-সল্টলেকে শুরু হল বাংলার তাঁতের হাট ২০২৪, উদ্বোধনে ব্রাত্য বসু
বাঁকুড়ার স্কটল্যান্ড হিসেবে পরিচিত তালবেরিয়া বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত ছোট্ট একটি গ্রাম। বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত এই গ্রাম। প্রতি বছরই এলাকায় পর্যটরদের ঢল নামে। এখান থেকে পুরুলিয়ার পান্ডুবন মন্দিরটি খুবই কাছে। তাই সেই মন্দিরটি দর্শনে আসা মানুষ অবশ্যই ঘুরে যান তালবেরিয়া গ্রাম থেকেও। তালবেরিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার মতো। মাঝখানে জলরাশি আর চারদিকে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সবুজের সমারোহ। চারিদিকে পাখির ডাক, প্রজাপতির ওড়াউড়ি মুগ্ধ করবেই। ড্যামের পাশে বসে থাকলে কীভাবে সময় কেটে যাবে বুঝতেই পারবেন না। চাইলে নৌকা নিয়ে নেমে পড়তে পারেন জলে। একটু সকাল সকাল গিয়ে সন্ধে পর্যন্ত কাটালে এই ড্যামে দেখা যাবে মনোমুগ্ধকর সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই। বাঁকুড়া থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তালবেড়িয়া তথা বাঁকুড়ার স্কটল্যান্ড পৌঁছতে ঝাড়গাম থেকে শিলদা হয়ে এলে দূরত্বটা কমে দাঁড়াবে মাত্র ৭০ কিলোমিটার। শীত বা বর্ষা, এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য সবসময়ই মুগ্ধ করবে। এলাকায় থাকার ব্যবস্থা নিয়েও চিন্তা নেই। তাই পুজো বা শীতের ছুটির ২-৩টে দিনের জন্য ঘুরে যেতে পারেন বাঁকুড়ার স্কটল্যান্ড তালবেরিয়া গ্রাম থেকে।