নবান্নের (Nabanna) সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী বিকেল ৫ টা থেকে উপস্থিত। কিন্তু ডাক্তাররা নিজেদের লাইভ স্ট্রিমিং এর দাবিতে অনড়। নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে গেলেন তারা। অথচ চিঠিতেই প্রশাসন সাফ জানিয়েছে, লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়। ১৫ জনের কথা হলেও ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়ে গেলেও চিকিৎসকদের ঢুকতে দেওয়া হয়। মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কথা বলেন রাজ্যের ডিজি। তবে হয় না বৈঠক। দেড় ঘন্টার ওপর সময় অতিক্রান্ত এবং নবান্ন সভাঘরে অপেক্ষারত মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-প্রয়াত সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এর পরেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উগরে দিলেন ক্ষোভ। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘’নবান্নের গেট থেকেও যাঁরা এলেন না, তাঁদের ক্ষমা করলাম… আমি সাধ্যমত চেষ্টা করলাম। বাইরে থেকে ইনস্ট্রাকশন আসছিল, নিগোশিয়েট করবে না মিটিং এ যাবে না। আশা করি জনগণ আমাদের ক্ষমা করবেন, আমাদের অনেক অপমান করা হয়েছে। বিচারাধীন মামলা নিয়ে আমরা লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারি না।”
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠক, আন্দোলনকারীদের চিঠি দিয়ে জানাল নবান্ন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”২৭ জন মানুষ মারা গিয়েছেন, ৭ লক্ষ মানুষ পরিষেবা পাননি এই সময়কালের মধ্যে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ফর্মাল মিটিং এ লাইভ স্ট্রিমিং হয় না, রাজ্যের ডিজি বলেন, যেটা পাবলিককে বলতে হয়, সেটা লাইভ স্ট্রিমিং হয়। পৌনে ৫টা থেকে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করছি। আমার ভাইবোনেদের শুভবুদ্ধি উদয় হবে, তাঁরা আসবেন, ভেবেছিলাম। আসতে বলে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম প্রথমে। ওঁরা আসবেন বলেছিলেন। আমার সঙ্গে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি ও প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ছিলেন। একবার ওদের নিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং করেছিলাম। তখন সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছিল না। সিবিআই-এর হাতে কেস ছিল না। আমরা রেকর্ডিং-এর কথা বলেছিলাম, স্বচ্ছতার জন্য। আমরা তিনটি ভিডিয়ো ক্যামেরা রেখেছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে সেটা প্রকাশ করতে পারতাম। সুপ্রিম কোর্ট যা পারে, আমরা তা পারি না। শীর্ষ আদালতে যখন মামলা বিচারাধীন, মামলাটা যখন সিবিআই দেখছে, সেখানে লাইভ স্ট্রিমিং করা যায় না।”
আরও পড়ুন-নেপালি মহিলাকে চাকরির লোভ দেখিয়ে যৌ.ন নিগ্রহের অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের পিলভিটে
এরপরেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অচলাবস্থার প্রসঙ্গ তুলে ডাক্তারদের নিজেদের দায়িত্বও মনে করালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা বলেছিলাম ১৫ জন আসতে। কিন্তু ৩৪ জন এসেছিলেন। কিন্তু সভাঘরে ঢুকলেন না।দু দিন ধরে আমরা দু ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছিলাম। আমি আর চন্দ্রিমা ছাড়া কোনও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের ডাকিনি। কিন্তু, ২৭ জন মারা গিয়েছেন। ৩২ দিন ধরে চিকিৎসা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।”