প্রতিবেদন: রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আওয়ামী লিগকে শায়েস্তা করতে বাংলাদেশে (Bangladesh) বহু নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া পুরনো মামলা খুঁচিয়ে তোলা হচ্ছে। বিএনপি এবং বিশেষত জামায়েতের মদতে এসব উদ্যোগ শুরু হলেও নিষ্ক্রিয় অন্তর্বর্তী সরকার। এখন যেমন ১৫ বছর আগের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা আবার খুঁচিয়ে তোলা হল বাংলাদেশে। দাবি তোলা হল নতুন করে ফের তদন্ত করতে হবে। এবং এই উদ্দেশ্যে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষকে পাঠানো হয়েছে আইনি নোটিশ। সোলায়মান তুষার, মাহদী জামাওনসহ সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন ব্যারিস্টার এই নোটিশ পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব এবং প্রতিরক্ষা সচিবিকেও। নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন, ওই ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবিও জানানো হয়েছে নোটিশে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ২০০৯-এর ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি যে ঘটনা ঘটেছিল এবং যা নিয়ে তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়াও শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই, এতদিন পরে তা আবার খুঁচিয়ে তোলা হচ্ছে কোন উদ্দেশ্যে? এর পিছনে হাসিনার দলকে হেনস্থার উদ্দেশ্য উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লিগ সমর্থক আইনজীবীদের মতে, শেখ হাসিনাকে বিপাকে ফেলার জন্যই জামায়েতের সুপরিকল্পিত চক্রান্ত এটি। একইভাবে অনেক পুরনো মামলাকেই খুঁচিয়ে তোলার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে হাসিনা-বিরোধীরা। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, জামায়েতের আইনজীবীদেরই নিয়োগ করা হচ্ছে বিভিন্ন মামলায় সরকারপক্ষের আইনজীবী হিসেবে। লক্ষণীয়, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ (Bangladesh) রাইফেলসের সদর দফতর পিলখানায় এই বিদ্রোহে ৫৭ জন অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন মোট ৭৪ জন। আইনি নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়নি। ঘটনার সঙ্গে যাঁরা আসলে জড়িত ছিলেন তাঁরা শাস্তির আওতায় আসেননি। কিন্তু শাস্তি দেওয়া হয়েছে অনেক নিরীহ মানুষকে। আড়াল করা হয়েছে প্রকৃত ঘটনা। এবার নতুন করে তদন্তের নামে ঘুরপথে দোষীদের ছাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।