প্রতিবেদন : লাইভ স্ট্রিমিংয়ের অন্যায্য আবেদন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে বসেননি ডাক্তারি পড়ুয়ারা। মুখ্যমন্ত্রী যখন ‘লাইফ’এর কথা ভাবছেন, পড়ুয়ারা তখন ‘লাইভ’এর কথা ভাবছেন। প্রশ্ন উঠেছে সে নিয়ে। পাশাপাশি তাঁদের প্রতিদিন নতুন দাবি যুক্ত হচ্ছে। আর সে দাবি যুক্তি দিয়ে সমূলে খণ্ডন করেছে তৃণমূল।
শুক্রবার পড়ুয়ারা রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পাঠিয়েছেন। সে প্রসঙ্গে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ স্পষ্ট জানান, মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সিবিআই শীর্ষ আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করছে। এই মুহূর্তে এই রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়ার অর্থ হল সুপ্রিম কোর্টকে অবমাননা, উপেক্ষা, অবহেলা করা।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
পড়ুয়াদের নতুন দাবি, কলকাতা নগরপাল এবং স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে। এতদিন দুই পদাধিকারীর পদত্যাগ দাবি করছিলেন পড়ুয়ারা। নতুন দাবি প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, তদন্ত করছে সিবিআই। তাদের কাছে গিয়ে দাবি জানানো হোক। বয়ান রেকর্ড করে স্বাক্ষর করে দিয়ে আসুন পড়ুয়ারা। যে তদন্তের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের হাতে নেই, সে নিয়ে তাদের কাছে দাবি জানানো অর্থহীন। আসলে ভুল ব্যাখ্যা করে তদন্তের অভিমুখকে ঘুরিয়ে দেওয়ার এটা ব্যর্থ চেষ্টা।
পড়ুয়াদের মাথায় রাখতে হবে যে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের একজন আইএএস, অন্যজন আইপিএস। দু’জনেই কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাডার। ফলে এটাও জেনে রাখা উচিত, কেন্দ্রের ক্যাডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা থাকে। তাহলে ভুল বোঝানোর এই অপচেষ্টা কেন? পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে শিখিয়ে দেওয়া রাজনীতি তোতাপাখির মতো আওড়াচ্ছেন পড়ুয়ারা, যা সত্যিই হতাশাজনক।