প্রতিবেদন : জেলার পর্যটন শিল্পকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে এবার লাভপুরের ফুল্লরা সতীপীঠকে (Fullara satipith) ঢেলে সাজাচ্ছে রাজ্য পর্যটন বিভাগ। এজন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। দ্রুত কাজ শুরু হবে। বোলপুর মহকুমার লাভপুরের এই ফুল্লরা সতীপীঠ নিয়ে পুরাণে কথিত আছে, এই স্থানে সতীর নিচের ঠোঁট বা ফুল পড়েছিল। তা থেকেই ফুল্লরা নামকরণ। মন্দিরে কোনও বিগ্রহ নেই। একটি কূর্মাকৃতির শিলাখণ্ডর পুজো হয় দেবী রূপে। গর্ভগৃহের পাশেই রয়েছে বিরাট পুকুর। কিংবদন্তি অনুযায়ী শরৎকালে রামচন্দ্রের দুর্গাপুজোয় যে ১০৮টি পদ্ম সংগ্রহ করা হয় সেগুলি এই পুকুর থেকেই নিয়ে যান হনুমান। এখানে প্রথম ফুল্লরা দেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন কৃষ্ণানন্দ গিরি। এক সময় মন্দিরের চূড়ায় স্বর্ণকলস শোভা পেত বলে কথিত আছে। অন্যান্য পীঠের মতো এখানেও রয়েছে বিশ্বেশ্বর ভৈরব মন্দির। বর্তমান মন্দির নির্মাণ করান যাদবলাল বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্য সরকারের বরাদ্দ টাকায় হবে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় নতুন একটি গেস্ট হাউস নির্মাণ। পর্যটকদের রাত্রিবাসের জন্য। সামনে হবে পুজোসামগ্রীর ৮টি দোকানঘর। সেগুলি ভাড়া দেওয়া হবে স্থানীয়দের। এই দোকানঘরের উপর দুটি ডরমিটরি তৈরি হবে সাধুসন্তদের জন্য। মূল মন্দিরের সামনে আটচালার মধ্যে তিনটি আলাদা জায়গায় তৈরি হবে যজ্ঞস্থল। শিশুদের জন্য মন্দির সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় গড়া হবে বিনোদন পার্ক-সহ আশপাশে শেডযুক্ত একাধিক বসার জায়গা। মন্দির ও পার্শ্ববর্তী এলাকার হবে সৌন্দর্যায়নও। সত্বর কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে ফুল্লরা মন্দিরের মাঠে প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করে দর্শন করে যান ফুল্লরা মন্দির। সেই সময় এলাকার উন্নয়নের জন্য তাঁকে আবেদন করেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা। এরপরই রাজ্য পর্যটন দফতর সিদ্ধান্ত নেয় ফুল্লরা মন্দিরকে ঢেলে সাজানোর। ফুল্লরা মন্দির কমিটির সভাপতি তরুণ চক্রবর্তীর কথায়, আগের তুলনায় এখন প্রচুর মানুষ মন্দির ও মাকে দর্শন করতে আসেন। তাঁদের কাছে এই স্থানকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হবে। এজন্য বিধায়ক ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।