প্রতিবেদন : একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এনেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। সেখানে তিনি চিকিৎসকদের নাশকতার ছকের আশঙ্কা করেছিলেন। এবার সেই অডিও ক্লিপ সত্য বলেই সিলমোহর দিল বিধান নগর কমিশনারেট। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন সঞ্জীব দাস, দ্বিতীয় ব্যক্তি ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত। বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি অনীশ সরকার বলেন, আমাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে কিছু পেশাগত বহিরাগত দুষ্কৃতীদের দিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থানে একটি আক্রমণ করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। একটি গোপন সূত্রে অডিয়ো ক্লিপও পাই। সেই অডিয়ো ক্লিপে দুজন ব্যক্তির মধ্যে একটি কথোপকথন আমরা শুনি। তাদের মধ্যে একজন সঞ্জীব দাস, দ্বিতীয় ব্যক্তি কলতান দাশগুপ্ত। এই অডিয়ো ক্লিপ সংবাদমাধ্যমে গতকাল সম্প্রচারিত হয়। এই অডিও ক্লিপ পাওয়ার পর টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস উইং এবং আমাদের ইনভেস্টিগেটিভ উইং দুজনে মিলে এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করি। সেখানে পাওয়া যায় এর সত্যতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।
সঞ্জীব দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি কনফেস করেছেন এই গলা তাঁর। কলতানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাদের আদালতে তোলা হবে। আমাদের টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস আদালতে তুলে ধরা হবে। দু-জনের জন্য ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হবে। তদন্তের সময় তাঁদের কণ্ঠস্বরের নমুনা নেব এবং আইন অনুযায়ী অডিও ক্লিপের সঙ্গে সেই কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখা হবে।
ভাইরাল হওয়া ওই অডিও ক্লিপে সাহেব, দাদু এবং বাপ্পা বলে তিনটি নাম পাওয়া গেছে। কারা এই সাহেব, দাদু এবং বাপ্পা, ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে তাদের কীভাবে কতটা যোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ডিসি। তদন্তকারীদের মতে, জুনিয়র চিকিৎসকেরা যখন নবান্নে গিয়েছিলেন সেই সময় এই কথোপকথন করা হয়েছিল।
এই দুই ধৃতের বিরুদ্ধে ২২৪, ৩৫২, ৩৫২ এ-বি ধারায় মামলার রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলতানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উচ্চবর্ণের পরিবারগুলিকে বয়কট দলিতদের!