প্রতিবেদন : মহিলাদের হাতে টাকা তুলে দিয়ে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করার জন্যই কি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোট? প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ কয়েক মাস আগেই এই বিজেপি শাসিত রাজ্যে শুরু করা হয়েছে লড়কি বহিন প্রকল্প৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পরিচালিত বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প থেকে শিক্ষা নিয়েই মহারাষ্ট্র সরকার এই প্রকল্প শুরু করেছে৷ মাস দুয়েক আগেই দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা৷ আগামী মাসেই দেওয়া হবে এই প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা৷ ভোটের আগে মহিলাদের হাতে কিছু টাকা তুলে দিয়ে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার লক্ষ্যেই কি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ? প্রশ্ন ডেরেকের৷ হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরের মতো রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সঙ্গে মহারাষ্ট্রেও বিধানসভার ভোট আয়োজনের কথা ছিল৷ কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে কোনও কারণ না দেখিয়েই তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন-মিড-ডে মিলে পড়ুয়াদের পাতে রান্নাপুজোর খাবার, অভিনব উদ্যোগ হাওড়ার প্রাথমিক স্কুলে
উল্লেখ্য, ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার বা ডিবিটির মাধ্যমে মহিলাদের হাতে সরাসরি অর্থ তুলে দিয়ে কীভাবে সমাজের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন এবং নারী সশক্তিকরণ করা সম্ভব, তা দেখিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ডেরেকের সাফ কথা, বাংলার দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিক বিজেপি। সেই শিক্ষাই তারা প্রয়োগ করুক গোটা দেশে। তবেই গোটা দেশের মহিলাদের সার্বিক বিকাশ এবং নারী ক্ষমতায়নের ভাবনা বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব।
তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতার ব্যাখ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের হাতে সরাসরি অর্থ তুলে দিচ্ছে৷ এই প্রকল্পের ফলে মহিলারা আগের তুলনায় অনেক বেশি স্বাবলম্বী হয়েছেন, ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, সর্বোপরি নিজেদের পরিবারে তাঁদের সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে৷ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থ হাতে পাওয়ার পরে মহিলারা এখন নিজেদের পরিবারের আর্থিক সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিতে পারছেন৷ এক্ষেত্রে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সংস্থার তৈরি সমীক্ষা রিপোর্ট খতিয়ে দেখলেই সবকিছু বোঝা যাবে, দাবি ডেরেকের৷