প্রতিবেদন : কস্মিনকালেও যে দৃশ্য দেখেনি দেশের লোক, আরও ভালভাবে বললে, যা কল্পনারও অতীত, সেই ঘটনাই ঘটল এবার। তাজমহলের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়তে শুরু করেছে! তাজমহলের বাগান হাঁটু জলে ডুবেছে। এবং এই ছবি ভাইরাল হতে শুরু করেছে গত কয়েকদিন ধরেই৷ এর পরেই সামনে এসেছে এই ঘটনার সত্যতা। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআই-র তরফে শনিবার জানানো হয়েছে আগ্রায় গত তিন-চারদিন ধরে চলা মারাত্মক বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাজমহলের গম্বুজের৷ শতাব্দীপ্রাচীন তাজের গম্বুজের মাথায় একটি ফুটোও দেখা দিয়েছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাপিলারি ক্র্যাক বা হেয়ার ক্র্যাক। এই কারণেই তাজের ছাদ চুঁইয়ে জল গড়াতে শুরু করেছে বলেও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন এএসআই কর্তারা। এএসআই সূত্রের দাবি, গোটা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। অভিযোগ উঠেছে রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির।
আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রের ভোট: বিজেপির অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন ডেরেকের
শনিবার এই প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এএসআই-এর মুখ্য সুপারিনটেন্ডেন্ট রাজকুমার প্যাটেল বলেন, তাজমহলের মূল গম্বুজের মাথায় যে ছিদ্রটি হয়েছে সেটি আমাদের নজরে এসেছে৷ ক্ষয়ের ফলেই এই ছিদ্র তৈরি হয়েছে বলেই আমাদের মনে হয়েছে৷ এর ফলে তাজমহলের মূল পরিকাঠামোর কোনও ক্ষতি হয়নি৷ এই বিষয় নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই৷ প্রয়োজন অনুযায়ী মেরামতিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷
উল্লেখ্য, বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য বলে খ্যাত তাজমহলের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ার এই ঘটনায় সাড়া পড়েছে নেট নাগরিক মহলেও৷ ১৬৫৩ সালে শেষ হয়েছিল এই ঐতিহাসিক মুঘল সাম্রাজ্যের স্মৃতিসৌধের নির্মাণকাজের৷ প্রতি বছর এই তাজমহল পরিদর্শনে আসেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অগণিত দর্শনার্থী৷ এঁদের থেকেই কোটি কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রা আয় করে ভারত সরকার৷ তারপরেও তাজমহলের মতো বিশ্বের মন কাড়া এই স্মৃতিসৌধের রক্ষণাবেক্ষণের প্রশ্নে সরকারি স্তরে এত অবহেলা কেন? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ওয়াকিবহাল মহল৷