একযোগে লাগাতার অভিযান বীরভূমের তিন থানার, বালিপাচারে আটক ২৪ ট্রাক ও ট্রাক্টর

লাগাতার অভিযান চালিয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ প্রচুর পরিমাণে নিয়মবহির্ভূতভাবে বালিপাচারে ব্যবহৃত ট্রাক্টর এবং ট্রাক আটক করল।

Must read

সংবাদদাতা, সিউড়ি : লাগাতার অভিযান চালিয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ প্রচুর পরিমাণে নিয়মবহির্ভূতভাবে বালিপাচারে ব্যবহৃত ট্রাক্টর এবং ট্রাক আটক করল। দুবরাজপুর, সিউড়ি এবং সদাইপুর থানার পুলিশ একযোগে অভিযান চালিয়ে বালি-ভর্তি ১৮টি ট্রাক্টর, ৬টি ১৮ চাকার ট্রাক আটক করে। যদিও দুবরাজপুর থানার পুলিশের হাতে আটক ১৮টি ট্রাক্টর নিজেদের হেফাজতে নিতে পারলেও চালকরা অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ ট্রাক্টর চালকদের সন্ধানে ইতিমধ্যে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।

আরও পড়ুন-বৃষ্টির পাশাপাশি মূর্তির চাহিদা কমায় চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা

বীরভূম জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অজয় নদ এবং ময়ূরাক্ষী নদী সংলগ্ন একাধিক এলাকা থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে রাতের অন্ধকারে কিছু বালি পাচারকারী বালি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। পাচারের খবর পুলিশের কাছে আসামাত্রই তারা তৎপরতার সঙ্গে অভিযানে নামে। বীরভূম জেলা পুলিশের ডিএসপি ডিইবি স্বপন চক্রবর্তী, দুবরাজপুর থানার ওসি তপাই বিশ্বাস, সদাইপুর থানার ওসি মিখাইল মিয়া, সিউড়ি থানার আইসি দেবাশিস ঘোষ, মহাম্মদবাজার থানার আইসি অরূপ দত্ত একযোগে অভিযান চালিয়ে গভীর রাতে একাধিক বালি বোঝাই গাড়ি আটক করেন। পাশাপাশি যেসব ট্রাকচালক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তাদের বাজেয়াপ্ত গাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে পুলিশ ভিডিও রেকর্ডিং করে নিজেদের কাছে প্রমাণ রাখে যে ওই বালি কোন ঘাট থেকে বেআইনিভাবে ট্রাকে পাচার করা হচ্ছিল। বেআইনি বালি পাচার করায় আর্থিক লোকসানের মুখে পড়ছেন সরকারকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে বালিঘাট কেনা ব্যবসায়ীরা। বর্ষাকালে জেলা প্রশাসনের কড়া নির্দেশ থাকে, কোনওভাবেই নদীগর্ভ থেকে বালি তোলা যাবে না। জেলা প্রশাসনের এই নির্দেশ উপেক্ষা করেই বালি তুলে রাতের অন্ধকারে পাচার করছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে বীরভূম জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে যারা এই ধরনের বেআইনি কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে ভবিষ্যতে এরকম বেআইনি কাজ কেউ করতে না পারে।

Latest article