প্রতিবেদন : আপ্রাণ চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আন্দোলনকারীদের অনড় মনোভাবই প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে সমস্যা সমাধানে। রাজ্য সরকার, এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন করেন। বারবার বলেছেন সে কথা। সেই জন্যই তিনি ধরনামঞ্চে পর্যন্ত গিয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের জন্য তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু তাঁদের অনড় মনোভাবেই বারবার নষ্ট হয়েছে বৈঠকের পরিস্থিতি। চিকিৎসকদের দাবি মেনে রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিয়েছেন, নতুন কমিটিতে ডাক্তারি পড়ুয়াদের রাখার ঘোষণাও করেছেন। কিন্তু তারপরও অপমানিত হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী নয়, দিদির মতো আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। শনিবার কালীঘাটের বৈঠক না হওয়ার পরেও রাজ্য সরকার যে সমস্যা সমাধানে এখনও প্রস্তুত রবিবার সকালে সেই বার্তাই দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন-শক্তি হারাচ্ছে নিম্নচাপ, সোমবার থেকেই হাওয়া বদলাবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে
শনিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিও। আন্দোলনের প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের সম্পর্কে নরম ও স্নেহের মনোভাব বজায় রেখেছেন। তা নিয়ে এদিন চন্দ্রিমা বলেন, তিনি নিজে বলেছেন যা দাবিদাওয়া আছে, তিনি সব খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন। এমনকী তাঁরা যে সাতজনকে সরানোর দাবি তুলেছিলেন তাঁদের সবাইকে সরানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আগাগোড়া সহনশীলতা দেখিয়েছেন।
শনিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী ধরনামঞ্চে যান। আন্দোলনকারীদের বৃষ্টিতে ভিজতে বারণ করেন। সন্ধেয় বাড়িতেও তিনি পুলিশকে নির্দেশ দেন তাঁদের মাথায় ছাতা ধরতে। আন্দোলনকারীদের প্রতি এভাবেই তিনি বারবার স্নেহের পরিচয় দেন। চন্দ্রিমা বলেন, আটটার সময় বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হাত জোড় করে বলেন, তোমরা ছোট, আমার কষ্ট হচ্ছে তোমরা ভিজছ। ভিজলে শরীর খারাপ হবে। তোমরা যদি মিটিং নাও করো, ভিতরে এসো, একটু চা খেয়ে যাও।
আরও পড়ুন-বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের সতর্ক করে ইস্তফার ঘোষণা কেজরির, ফিরবেন মানুষের রায়েই
শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে তাঁদের বের করে দেওয়া নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে চন্দ্রিমা বলেন, ওটা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি, তিনি ওঁদের ডেকেছেন, আমি কেন তাঁদের চলে যেতে বলব? মুখ্যমন্ত্রী ন’টা অবধি অপেক্ষা করলেন। তারপর যখন আধিকারিক ও আমরা বেরিয়ে যাচ্ছি, ওঁদের বলি, তখন ওঁরা বললেন আলোচনা করবেন। ওঁরা অনেক ছোট৷ আমার ছেলের বয়সী, আমিও তো মা, আবেগে অনেক কিছু বলেছে। মুখ্যমন্ত্রী ওঁদের ক্ষমা করে দিয়েছেন, আমিও করে দিয়েছি।