সুদেষ্ণা ঘোষাল, দিল্লি: হরিয়ানার (Haryana) বিধানসভা ভোটের বাকি আর মাত্র তিন সপ্তাহ৷ তার আগেই চরমে উঠেছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব৷ গেরুয়া শিবিরের দলাদলির অবস্থা এতটাই তীব্র হয়েছে যে অনিল ভিজের মত প্রবীণ বিজেপি নেতা এবার নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী পদের সেরা দাবিদার বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন৷ গেরুয়া দলের তথাকথিত শৃঙ্খলা পারস্পরিক কাদা ছোড়াছুড়িতে পর্যবসিত হয়েছে।
আরও পড়ুন-কাশ্মীরের ভোটে বিজেপির ইস্তাহারে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, বাংলাকে দেখেই শেখে সবাই, বলছে তৃণমূল
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রের বিজেপি প্রাথী অনিল ভিজ বলেন, আমি হরিয়ানার সবথেকে প্রবীণ বিজেপি নেতা৷ এর আগে ৬ বার বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি৷ এবার সপ্তম বার নির্বাচনে লড়ছি৷ রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষের ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে আমি নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে ঘোষণা করছি৷ দল আমাকে মুখ্যমন্ত্রী করবে কিনা, সেটা শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত৷ তবে আমাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে আমি হরিয়ানার ছবি ও ভাগ্য পালটে দেব, এটুকু গ্যারান্টি দিতে পারি৷ বছরের পর বছর ধরে দলের সেবা করার পরেও তিনি কোনওদিন কিছুই চাননি দাবি জানিয়েছেন অনিল ভিজ৷ ৭১ বছর বয়সী প্রবীণ বিজেপি নেতার এই দাবির পরেই বিপাকে পড়েছে বিজেপি৷ অনেকেই বলছেন প্রকাশ্যে নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী পদের যোগ্য প্রার্থী ঘোষণা করে আসলে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন পোড় খাওয়া নেতা। দল এই দাবির কড়া বিরোধিতা করতে গেলে ভোটারদের কাছেই আরও হাস্যাস্পদ হবে।
আরও পড়ুন-অযোধ্যার মন্দিরের কর্মীকে গণধর্ষণ
এদিকে ইতিমধ্যেই বিজেপির শীর্ষস্তর সাফ জানিয়ে রেখেছে, রাজ্যের বিধানসভা ভোটে জিতে দল ক্ষমতায় এলে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনিকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে৷ রবিবার অনিল ভিজের মন্তব্য সামনে আসার পরেই তাই তোলপাড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং হরিয়ানার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, আমাদের দলের তরফে আগেই জানানো হয়েছে হরিয়ানায় আমাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলেন নায়েব সিং সাইনি৷ ধর্মেন্দ্র প্রধানের এই মন্তব্যের পরেই স্পষ্ট হয়েছে অনিল ভিজ যতই তাঁর দলের উপরে মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী ইস্যুতে চাপ তৈরির চেষ্টা করুন না কেন, আপাতত সেই বিষয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ আবার শাঁখের করাতের মত হরিয়ানার এই প্রবীণ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় কার্যত অসম্ভব। এই আবহে অনিল ভিজ এবং তাঁর অনুগামী বিজেপি নেতারা এবার বিদ্রোহের রাস্তায় হাঁটেন কিনা বা নতুন করে চাপ বাড়ানোর কৌশল নেন কিনা সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল৷