প্রতিবেদন : পুজো উপলক্ষে পাঁচমুড়ার পোড়ামাটির শিল্পের বাজার এবার দারুণ চাঙ্গা। টেরাকোটার নানা সামগ্রী দিয়ে বাংলা ছাড়াও সেজে উঠতে চলেছে ভিনরাজ্যের মণ্ডপও। সম্প্রতি পোড়ামাটির দু’হাজার পুতুল পাড়ি দেয় অসমে। কলকাতা, বনগাঁ থেকে শুরু করে রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুজোমণ্ডপে ব্যবহৃত হবে পোড়ামাটির দুর্গামূর্তি, টাইলস, দশাবতার-সহ টেরাকোটার নানা সামগ্রী। ফলে পাঁচমুড়ার শিল্পীরা নাওয়াখাওয়া ভুলে কাজে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন-ভাঙা হাতেই লড়ে গেলাম : নীরজ
মাটি তৈরি, মূর্তি গড়া বা ভাটিতে মূর্তি পোড়ানোর কাজ চলছে দুরন্ত গতিতে। বাড়ির মহিলারাও এই কাজে হাত লাগিয়েছেন। কুমোরপাড়া থেকে দু’হাজার পোড়ামাটির পুতুল কাগজের কার্টন বা প্যাকিং বক্সে ভরে খড় দিয়ে মুড়ে খড়্গপুরে পাঠানোর পর সেখান থেকে ট্রেনে পৌঁছে যাবে অসমে। জানা গিয়েছে, কোলাঘাটের একটি পুজো উদ্যোক্তারা বড় মাপের পুতুল ও পোড়ামাটির হাতি-ঘোড়ার অর্ডার দিয়েছেন। এসেছে ধামসা-মাদল-সহ আদিবাসী বাদ্যযন্ত্র তৈরির অর্ডারও। এসেছে একশো দশাবতার মূর্তির অর্ডার। সেগুলিও তৈরি হচ্ছে কুমোরপাড়ায় কুম্ভকারদের বাড়ি। কাঁচামাটির তৈরি জিনিস সরাসরি রোদে শুকনো যায় না। ছাওয়ার নীচে শুকিয়ে ভাটিতে পোড়ানো হয়। তবেই টেরাকোটার আসল রং ফোটে। এর জন্য সময় লাগে অনেক বেশি। পুজো প্রায় দোরগোড়ায় এসে পড়ায় এই মুহূর্তে এই সব কাজ নিয়ে দিনরাত ব্যস্ত গ্রামের পুরুষ-মহিলা শিল্পীরা।