প্রতিবেদন : একে একে রোগী আসছেন। কাউকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে, কাউকে জরুরি বিভাগ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বহির্বিভাগে। কাউকে জরুরি বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে, অন্য হাসপাতালে যান। কর্মবিরতি চলছে, ডাক্তার নেই। এই রেফারের ফাঁসে নাজেহাল রোগীর পরিবার-পরিজন। এমনকী এই হয়রানি থেকে রক্ষা নেই ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য অসুখে আক্রান্ত রোগীদেরও।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
বেলগাছিয়ার হারাধন দাস। ক্যানসার আক্রান্ত। তিনি আরজি করে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু চিকিৎসা তো দূর অস্ত, তাঁকে ভর্তিও নেওয়া হল না। ভর্তি হতে না পেরে তিনি ফিরে গেলেন। আর এক রোগী ঝুনু দফাদার বললেন, আমি ক্যানসার আক্রান্ত। আমার গলব্লাডারে স্টোন হয়েছে। আজ অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। ডাক্তারবাবু বললেন, আমি কি একা অপারেশন করব? পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, আবার আসবেন। এভাবে আর কতদিন আমাদের ভুগতে হবে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। নিউটাউনের জাহানারা বিবির সারা শরীরে খিঁচ ধরছিল। তাঁকে অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়েছে। তড়িঘড়ি গাড়ি চালিয়ে হাসপাতাল খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন জাহানার বিবির পরিজনরা।
আরও পড়ুন-আজ থেকে কমবে বৃষ্টি
শুধু আরজি করেই নয়, এসএসকেএমেও এমনই তিক্ত অভিজ্ঞতা হচ্ছে রোগীদের। বুধবার এসএসকেএমের এমার্জেন্সিতে এসে কাকাকে ভর্তি করতে পারেননি আসিফ মালিক। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ি ফেরেন। ভর্তির দরকার। শম্ভুনাথ পণ্ডিতে গিয়েও মিলল না বেড। দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীও ফিরে যাচ্ছেন জেলা হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে আসার পরও। জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন ডাক্তারবাবুরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। স্বাস্থ্য পরিষেবা না পেয়ে ভুগছেন রোগী ও তাঁদের পরিবার-পরিজন। জানেন না কবে এর সমাধান হবে। ফের সুষ্ঠু পরিষেবা মিলবে।