কালীঘাটে (Kalighat) আজ, সোমবার ২ ঘণ্টার হাইভোল্টেজ বৈঠকের পর মিনিট লেখার পর্ব পেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বেরিয়ে আসেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তিনি জানান, ”চিকিৎসকেকের যে দাবিগুলি ছিল, তারমধ্যে ৯৯ শতাংশ মেনে নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের DME, DHSকে পদ ছেকে সরানো হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, দুই পক্ষই এই বৈঠকের মিনিটস সই করেছেন। রাজ্যের তরফে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও ৪২ জন জুনিয়র ডাক্তার এই মিনিটসে স্বাক্ষর করেছেন। জুনিয়ার ডাক্তারদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা হাসপাতালে ফিরে যান, কারোর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না’। তাঁদের কাজে যোগ দিতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘এই বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে।’’
আরও পড়ুন-নজরে নিরাপত্তা, একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিল বারুইপুরের দুই হাসপাতাল
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”অভয়ার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়ে আজকের বৈঠক শুরু হয়। চিকিৎসকদের ৫ দফার দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল সিবিআই তদন্ত। যা শুরু হয়েছে। ফলে বাকি রইল ৪ দফা দাবি। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্যসচিব, ডিএমই, ও ডিএইচএসকে সরানোর জন্য আবেদন আসে। স্বাস্থ্য দফতরের DME, DHSকে সরানো হবে। ওঁদের বোঝালাম, একসঙ্গে যদি পুরো ঘরটা খালি করে দেওয়া হয়, তাহলে প্রশাসন চলবে কী করে? সুতরাং আমরা ওঁদের কথা মতো ডিএমই ও ডিএইচএসকে সরাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু ছাত্র ছাত্রীরা বলছেন, ওঁদের প্রতি আমাদের আস্থা নেই.. তাই তাঁদের ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিয়েছি। তবে এটাও ঠিক যে, আমরা ডিএমইকে বা ডিএইচএসকে অসম্মান করিনি। ওঁদের বিরুদ্ধে যেহেতু চিকিৎসকদের ক্ষোভ রয়েছে তাই ওঁদের দাবি মেনে এই ২ জনকে সরানো হয়েছে।”
আরও পড়ুন-মাঝসমুদ্রে নিখোঁজ ৪৯ জন মৎস্যজীবী
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেল চারটে পর্যন্ত কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদে থাকবেন বিনীত গোয়েল কারণ কাল সুপ্রিম করতে শুনানি আছে। তারপর নয়া পুলিশ কমিশনার পাবে কলকাতা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (নর্থ) অভিষেক গুপ্তাকে। শুধুমাত্র রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে পদে রেখেছেন। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে যদিও মুখ্যমন্ত্রী কিছু জানান নি।
আরও পড়ুন-লাভপুরে প্লাবিত ১২ গ্রাম, নৌকায় উদ্ধার দুর্গতদের
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”বিনীত নিজেই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরতে চেয়েছিলেন। তাঁকে বরখাস্ত করা হল। (জুনিয়র ডাক্তারদের) চার নম্বর দাবি ছিল যে সিপি বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দিতে হবে। বিনীত নাকি আগেই ওদের কাছে স্বীকার করেছিল যে আমি পদত্যাগ করতে চাই। কারণ আমার মনে হচ্ছে যে তোমরা যখন আমার উপরে আস্থা রাখতে পারছ না, তাই আমি ইস্তফা দিতে চাই, তোমাদেরও যেমন পরিবার আছে, আমারও আছে। এটা ওরা আমায় মিটিংয়ে বলল।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রয়েছে আরজি কর মামলার সুপ্রিম শুনানি। তার আগে এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ তো বটেই।