প্রতিবেদন : আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে ‘রাজনীতি’ করতে গিয়ে তীব্র ভর্ৎসিত হলেন জনৈক আইনজীবী৷ মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানির একেবারে শেষ লগ্নে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসের মধ্যে হঠাৎই এক আইনজীবী চিৎকার করে দাবি জানান, আরজি কর-কাণ্ডের দায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আইনজীবীর এই দাবি শুনে কার্যত হতবাক হয়ে যান আরজি কর মামলার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য প্রবীণ আইনজীবীরাও৷ এই সময়েই প্রধান বিচারপতি তিরস্কার করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে৷ আরজি কর মামলার শুনানিতে কোনওভাবেই তিনি রাজনীতি বরদাস্ত করবেন না জানিয়ে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, আপনি কি এখানে রাজনীতি করতে এসেছেন? এখানে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি আপনি তুলতে পারেন না৷ এটা কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নয়৷ আমরা কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ দিতে পারি না৷ আদালতে ডেকোরাম বজায় রাখুন৷ আপনি বার অ্যাসোসিয়েশনের একজন সদস্য৷ আমরা কী বলব, সেই বিষয়ে আমাদের কোনও উপদেশ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না৷ আমাদের কোনও প্রয়োজন নেই আপনার উপদেশ শোনার৷ আপনাকে আইন মেনেই বক্তব্য রাখতে হবে৷ একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আপনার কী ধারণা, তা নিয়ে আমরা একেবারেই চিন্তিত নই৷ আপনি যে আবেদন করেছেন, তার কোনও অর্থ নেই৷ আপনি চিৎকার করতে থাকলে আপনাকে আদালতের বাইরে বার করে দেওয়ার নির্দেশ দিতে বাধ্য থাকব৷ প্রধান বিচারপতির এই কড়া অবস্থান দেখার পরে চুপ করে যান ওই আইনজীবী৷ এরপরেই বেঞ্চ ছেড়ে মধ্যাহ্নভোজনের বিরতিতে চলে যান প্রধান বিচারপতি ও তাঁর দুই সতীর্থ বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে বাঁধে ভাঙন, দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে মন্ত্রী মানস
এদিকে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে নির্ধারিত শুনানি পর্বের প্রথমেই সওয়াল করতে গিয়ে কপিল সিবাল জানান, শুনানিতে অংশগ্রহণ করা মহিলা আইনজীবীদের ধর্ষণ ও প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ঘৃণ্য, নৃশংস অপরাধ করা হয়েছে একজন মহিলার সঙ্গে৷ তারই পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে দায়ের করা হয়েছে মামলা৷