প্রতিবেদন : আরজি কর কান্ডর পরিপ্রেক্ষিতে এবার গোটা রাজ্যের সর্বত্র সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে কর্মরত চিকিত্সক ও চিকিত্সাকর্মীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে সওয়াল করার সময়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের স্বাক্ষরিত হলফনামা পেশ করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল৷ এই হলফনামায় রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং তার আশে পাশে থাকা ১০৪টি সরকারি হাসপাতালের প্রতিটিতে কর্তব্যরত ডাক্তারদের জন্য অতিরিক্ত ডিউটি রুম, বিশ্রামের ঘর, শৌচাগার বানানোর কাজ শুরু করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন-ফের জল ছাড়ল ডিভিসি, প্লাবন
১৪ দিনের মধ্যে শেষ করা হবে এই কাজ৷ একইসঙ্গে চলছে প্রতিটি হাসপাতালে অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজও৷ ৭৭৪৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা এখন লাগানো আছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি হাসপাতালে৷ এগুলির সঙ্গেই আরও ৬১৭৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে সরকারি হাসপাতালে৷ এর সঙ্গেই মেডিক্যাল কলেজ গুলিতে লাগানো হবে ৩৩৪৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা৷ সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত চিকিত্সক ও চিকিত্সাকর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনও প্রকার সমঝোতা করা হবে না, সাফ জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে জমা দেওয়া হলফনামায়৷ এই ক্ষেত্রে জুনিয়র, সিনিয়র চিকিত্সকদের সঙ্গে আলোচনা করেই দু সপ্তাহের মধ্যেই করা হবে যাবতীয় পদক্ষেপ৷ এই তথ্য জানার পরে সন্তোষ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত৷ এই প্রসঙ্গেই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজের সেমিনার রুম, রেস্ট রুমে বায়োমেট্রিক এন্ট্রি চালু করতে হবে৷ সুপ্রিম নির্দেশ পালন করা হবে দ্রুততার সঙ্গে, আশ্বাস দেন কপিল সিবাল৷