প্রতিবেদন : কলকাতা লিগে খেতাবি লড়াইয়ে বুধবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামছে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব ডায়মন্ড হারবার এফসি। সামনে এবার ভবানীপুর ক্লাব। খেতাবি লড়াইয়ে ডায়মন্ড হারবারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল। সুপার সিক্সে পরপর দুই ম্যাচ জিতে ১৪ ম্যাচে ৪০ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছে লাল-হলুদ বাহিনী। ডায়মন্ড হারবারও সুপার সিক্সে তাদের প্রথম ম্যাচ দাপটে জিতে খেতাবি লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গলের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ১৩ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট ডায়মন্ড হারবারের।
অন্যদিকে, সুপার সিক্সে প্রথম ম্যাচ হারায় গ্রুপ পর্বে অর্জিত ৩১ পয়েন্টেই দাঁড়িয়ে ভবানীপুর। তারা খেলেছে ১৩ ম্যাচ। খেতাবি দৌড়ে থাকা ভবানীপুরকে আরও পিছনে ফেলে ইস্টবেঙ্গলের উপর চাপ বাড়াতে হলে বুধবারের ম্যাচ জিততেই হবে ডায়মন্ড হারবারকে। দল জয়ের ছন্দে থাকায় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর কিবু ভিকুনার দল।
আরও পড়ুন-‘অন্নদাতা’ ট্রেনকেই দেবতা রূপে আরাধনা বাঁশবেড়িয়ায়
নৈহাটি স্টেডিয়ামে দুপুর তিনটে থেকেই ম্যাচ। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ঘরের মাঠে আই লিগ থ্রি-র মূলপর্বের ম্যাচ খেলবে ডায়মন্ড হারবার। পরপর খেলা থাকায় সুপার সিক্সে সুরুচি সংঘের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে প্রথম একাদশে একাধিক বদল এনেছিলেন কোচ কিবু। নরহরি শ্রেষ্ঠা, জবি জাস্টিন-সহ নিয়মিত ফুটবলারদের বিশ্রাম দেওয়া হয়। তবে জবি ছাড়া বাকিরা সম্ভবত ভবানীপুর ম্যাচে প্রথম দলে ফিরছেন। জবির হালকা চোট রয়েছে। বুধবার সকালে কেরলের ফুটবলারের চোট ও ফিটনেস পরীক্ষা করেই তাঁকে খেলানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল। ডায়মন্ড হারবারের সহকারী কোচ দেবরাজ চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘ভবানীপুর ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সুপার সিক্সে ওরা আগের ম্যাচ হেরেছে। আমরা জিতেছি। এই ম্যাচটা জিতলে অনেকটা এগিয়ে যাব। তখন চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডে আমাদের মূল লড়াই দাঁড়াবে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গেই। ভবানীপুর ভাল দল। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’’
দলে ট্যাকটিক্যাল কিছু পরিবর্তন হলেও আক্রমণাত্মক রণনীতিই অস্ত্র ডায়মন্ড হারবারের। দেবরাজ বলছিলেন, ‘‘সব প্রতিপক্ষকেই আমরা সম্মান দিয়ে খেলি। দলে কিছু পরিবর্তন হতেই পারে। তবে আমাদের দর্শন বদলাবে না। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেই জয়ের ছন্দ ধরে রাখতে চাই।’’