প্রতিবেদন : ভবানীপুরের সঙ্গে ড্র করে কলকাতা লিগের খেতাবি লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ল ডায়মন্ড হারবার এফসি। ফলে ইস্টবেঙ্গলের লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ল। লাল-হলুদের উপর চাপ বাড়ানোর জন্য বুধবার ভবানীপুরকে হারাতেই হত ডায়মন্ড হারবারকে। ভাল খেলে এগিয়ে গিয়েও জয় হাতছাড়া করল কিবু ভিকুনার দল। নৈহাটি স্টেডিয়ামে দু’দলের মধ্যে ম্যাচ ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকে।
লিগে অপরাজিত থাকলেও এদিন পয়েন্ট নষ্ট করায় ইস্টবেঙ্গলের থেকে ৪ পয়েন্টের ব্যবধান হল ডায়মন্ড হারবারের। ১৪ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের। সমসংখ্যক ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট ডায়মন্ডের। ভবানীপুরের সমসংখ্যক ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট। লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ডায়মন্ড হারবারকে বাকি তিন ম্যাচে শুধু জিতলেই হবে না, ইস্টবেঙ্গলকেও পয়েন্ট নষ্ট করতে হবে।
আরও পড়ুন-এক দেশ-এক ভোট নীতি আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়, বিরোধিতায় সরব হন তৃণমূলনেত্রীই
ডায়মন্ড হারবার ও ভবানীপুর দু’দলের কাছেই ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিবুর দলের ছেলেদের দাপট থাকলেও কাঙ্ক্ষিত গোল আসছিল না। চোটের কারণে জবি জাস্টিন এদিন খেলেননি। তবে নরহরি শ্রেষ্ঠাকে এদিন শুরু থেকে খেলান কিবু। কিন্তু গোলের মধ্যে থাকা বাঙালি স্ট্রাইকারও নিষ্প্রভ ছিলেন। শুরুতে গোল তুলে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে মরিয়া ছিল ডায়মন্ড হারবার। একই লক্ষ্য ছিল ভবানীপুরেরও। কিন্তু অয়ন মণ্ডল, বিক্রমজিৎ, রবিলালরা রক্ষণ জমাট রেখেছিলেন। আক্রমণ ও প্রতিআক্রমণে উপভোগ্য ম্যাচ হলেও ফাইনাল থার্ডে এসে রক্ষণব্যূহ ভেঙে গোল তুলে নিতে পারছিল না কেউ। তারমধ্যেই ডায়মন্ড হারবারের কাছে সুযোগ এসেছে। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা। প্রতিটি বলের জন্য লড়াই করেছে দু’দলের ফুটবলাররা। ফলে চড়া মেজাজের ম্যাচ হয়েছে। রেফারিকে একাধিক কার্ড দেখাতে হয়েছে।
প্রথমার্ধে গোল না হলেও দ্বিতীয়ার্ধেই দু’গোল হয়েছে ম্যাচে। ৬৮ মিনিটে এগিয়ে যায় ডায়মন্ড হারবার। পেনাল্টি থেকে গোল করেন নরহরি। মিনিট কয়েকের মধ্যেই ম্যাচে সমতা ফেরায় ভবানীপুর। সুপ্রিয় পণ্ডিতের ভুলে পেনাল্টি পায় ভবানীপুর। গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান জিতেন মুর্মু। তবে দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে দাপুটে ফুটবল খেলেও জয় অধরা থাকে ডায়মন্ড হারবারের। সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সুপ্রিয়, গিরিক খোসলারা। না হলে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত ডায়মন্ড হারবার।
আরও পড়ুন-আজ ফের সন্ধেয় মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক জুনিয়র ডাক্তারদের
ডায়মন্ড হারবার এফসি-র সচিব প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘অঙ্কের বিচারে লিগ জয়ের সুযোগ থাকলেও কাজটা আমাদের কঠিন হয়ে গেল। সুপ্রিয় পণ্ডিতের ভুলে পেনাল্টি না হলে আমরাই জিততাম। গোলের সুযোগও নষ্ট হল। তবে আই লিগকে আমরা পাখির চোখ করেছি। ওটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’’