প্রতিবেদন : পুজোর বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং ও ব্যানারে পুজো কমিটির নাম ও বিজ্ঞাপন সংস্থার নাম রাখতেই হবে। পুজোর কিছুদিন আগেই এমন সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে এই মর্মে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, দুর্গাপুজো শেষের সাতদিনের মধ্যে খুলে ফেলতে হবে সমস্ত অস্থায়ী পোস্টার-হোর্ডিং। পুজোর পরও শহর কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ধারে, কোনও বাড়ির জানলা আটকে লাগানো বিজ্ঞাপনী ব্যানার রয়ে যায় দিনের পর দিন। সেক্ষেত্রে পুরসভার কাছেই আসে সেইসব অভিযোগ। তাই এবার পুজোর আগে থেকেই এই বিষয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিল পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ। চলছে পুজোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আর কিছুদিন পর থেকেই কলকাতার অলি-গলি ও বিভিন্ন রাস্তার দু’ধারে ছেয়ে যাবে বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং-ব্যানার-পোস্টারে। ইতিমধ্যেই তার জন্য শহরের বিভিন্ন বড় রাস্তার দু’ধারে বাঁশের কাঠামো তৈরি কাজও প্রায় শেষ। কিন্তু পুজোর শেষেও বিভিন্ন এলাকায় বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং দিনের পর দিন লেগে থাকতে দেখা যায়। অভিযোগ পেয়ে সেগুলি খুলতে হয় পুরসভাকেই। কিন্তু কোন বিজ্ঞাপনী এজেন্সি কোন পুজোর তরফে ওই ব্যানার লাগিয়েছে, সেই নাম না থাকলে সমস্যায় পড়ে পুরসভা।
কোনও পুজো মণ্ডপ চত্বরে হোর্ডিং লাগানো হয়েছে অথচ সেই বিজ্ঞাপন থেকে কোনও টাকাই পায়নি সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটি। তাই বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে চিঠি দিয়ে হোর্ডিং-ব্যানারে বাধ্যতামূলকভাবে পুজো কমিটির নামও রাখার কথা জানিয়েছে পুরসভা। একইসঙ্গে বিজয়া দশমীর সাতদিনের মধ্যেই বড় রাস্তার পাশাপাশি অলিতে-গলিতে থাকা পোস্টার-ব্যানারও খুলে ফেলার স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞাপনী এজেন্সিগুলিকে। অভিযোগ পেয়ে পুরসভাকে সেই ব্যানার খুলতে হলে উক্ত ব্যানার ও অন্যান্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হবে। নিয়ম না মানলে জরিমানা পর্যন্ত করা হতে পারে বলে কলকাতা পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ সূত্রে খবর।