নয়াদিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর : এশীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে চিনের বিরুদ্ধে গোল করে ভারতকে (India) জিতিয়েছেন যুগরাজ সিং। ফাইনালে চতুর্থ কোয়ার্টারে জয়সূচক গোলের পর থেকে নায়কের মর্যাদা পাচ্ছেন যুগরাজ। খেতাব ধরে রেখে বৃহস্পতিবার চিনের হালানবুর থেকে দেশে ফিরল এশিয়া সেরা ভারতীয় হকি দল।
দিল্লি বিমানবন্দরে হরমনপ্রীত সিং, যুগরাজদের বরণ করে নেয় হকি ইন্ডিয়া। ছিলেন খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যরাও। অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং বললেন, ‘‘দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। ফের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়টা আমাদের কাছে স্পেশাল। খুব গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট ছিল। আমরা প্রস্তুতির সেভাবে সুযোগও পাইনি।’’ ফাইনালের নায়ক যুগরাজের জীবনের লড়াই সহজ ছিল না। একটা সময় পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে ওয়াঘা-আটারি সীমান্তে পর্যটকদের মধ্যে জাতীয় পতাকা এবং জলের বোতল বিক্রি করতে হয়েছে ২৬ বছরের ভারতীয় ডিফেন্ডারকে।
আরও পড়ুন- এবার পথভোলা কলকাতা অমৃতসর এক্সপ্রেস ট্রেন
যুগরাজের বাবা সুখজিৎ সিং প্রায় ৩০ বছর কুলির কাজ করেছেন। সুখজিৎ বলেছেন, ‘‘আমি জানি না, আর কোনও ছেলেকে এতটা কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে কি না। যতটা আমার ছেলে যুগরাজকে করতে হয়েছে। ও আমাকে এবং পরিবারকে গর্বিত করেছে। পাক সীমান্তে বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানে ভারতের পতাকা বিক্রি করেছে আবার পর্যটকদের জন্য জলের বোতলও বিলিয়েছে। তারপরেও দেখুন, ও আজ কোথায় পৌঁছেছে।’’ পাঞ্জাবের আটারির বাসিন্দা যুগরাজের জীবন বদলে যায় কোচ নভজিৎ সিংয়ের নজরে পড়ার পর। নভজিৎ বলেছেন, ‘‘সকালে ও দুপুরে প্র্যাকটিস করে বিকেলে পর্যটকদের কাছে পতাকা ও জলের বোতল বিক্রি করতে যেত যুগরাজ। ওর দিন শেষ হত সবার শেষে তাই ও সকালে সবার আগে প্র্যাকটিসে আসত।’’