শপিং ফেস্টিভ্যাল : বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতি হবে আরও মজবুত, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, সেই শপিংমলের দুটি তলা শুধুমাত্র স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য রাখা হবে।

Must read

প্রতিবেদন : গ্রাম-বাংলার আর্থিক কর্মকাণ্ডকে মজবুত করার পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিকে মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। এই উদ্দেশ্যকে পুজোর মুখে প্রথম বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যালের আয়োজন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাম-বাংলার মানুষকে রোজগারের পথ খুলে দেওয়াই যে এই কেনাকাটার উৎসবের মূল উদ্দেশ্য উদ্বোধনী ভাষণে সেই বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবির সপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যার বিশ্ববাংলা মেলাপ্রঙ্গণ।

আরও পড়ুন-জখম পড়ুয়া, প্রশ্নের মুখে বেসরকারি স্কুল

যেখানে বিরাট ছাদের তলায় দেশ-বিদেশের নামীদামি ব্র্যান্ডেড পণ্যের সঙ্গে শোভা পাচ্ছে বাংলার ঘরের নানা পণ্য, সে সবংয়ের মাদুর হোক বা বিষ্ণুপুরের ঘোড়া, ছৌয়ের মুখোশ হোক বা কৃষ্ণনগরের সরভাজা। পুজোর আগে এই উৎসব আয়োজনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রামের লোকেরা পুজোর মাধ্যমে নানারকম জিনিস বিক্রি করেন। যেহেতু বর্ষার কয়েকটা দিন ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে, তাই তাঁদের যাতে উপার্জনের একটা রাস্তা খুলে যায় সেই কথা ভাবতে হবে। এই সুযোগ দেওয়ার জন্য পুজোর আগে এক ছাদের তলায় নানা সামগ্রীর পশরা সাজিয়ে এই শপিং ফেস্টিভাল আয়োজন করা হয়েছে। পুজো কমিটিগুলিও যাতে গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় সেই অনুরোধও জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যালের সাফল্য কামনা করে তিনি বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোকে বলব বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে স্টল দিতে। ছোট ছোট স্টল থাকলে মানুষজন কেনাকাটা করতে পারবেন। এতে বিক্রেতাদের ইনকাম হবে, ক্লাবগুলোরও ইনকাম হবে। এর পরেই রাজ্যের বন্যাপরিস্থিতির উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, আমার গ্রামবাংলা জলে ভাসছে, এই বন্যা বৃষ্টির জন্য নয়, জল ছাড়ার বন্যা, ডিভিসি প্রচুর জল ছেড়েছে এবং এটা পরিকল্পিত বন্যা। আমি বন্যাত্রাণ নিয়ে ব্যস্ত আছি এবং গোটা পরিস্থিতি মনিটরিং করছি। উৎসবে ফেরায় জোর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছর শপিং ফেস্টিভ্যাল করুন, ভাল করে করুন। বাংলার সম্মানকে তুলে ধরুন। যারা বাংলার সম্মানকে ভু-লুণ্ঠিত করছেন তাঁদের জন্য নয়। মনে রাখবেন, বাংলা সবার উপরে। বাংলার একদিকে শস্যক্ষেত্র ডুবে গেছে তাদের সাহায্য করতে হবে। আমরা তাদের পাশে আছি। তাড়াতাড়ি বন্যার জল থেকে মানুষ শান্তি পাক। দুর্ভোগ কাটানোর প্রার্থনা সকলে করবেন।

আরও পড়ুন-রাতভর কাজ করে জল ঢোকা রুখলেন সেচ দফতরের কর্মীরা

রাজ্যের জেলা সদরগুলিতে শপিংমল তৈরির প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা আশ্বাস দিয়েছেন। বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, সেই শপিংমলের দুটি তলা শুধুমাত্র স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য রাখা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ২৩টি জেলার সদরে এজন্য এক একর করে জমি নেওয়া হবে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে সেখানে যে-যে মল হবে তাতে নিচের দুটো তলা সম্পূর্ণভাবে থাকবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য। বাকি তিনটি তলায় বিভিন্ন দোকান থাকবে। সরকার জমি দেবে, বাড়ি বেসরকারি সংস্থা তৈরি করবে। একটা সিনেমা হলও সেখানে থাকবে।

Latest article