সংবাদদাতা, হুগলি : ডিভিসির ছাড়া জলে আরামবাগ মহাকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ব্যাপক বন্যার কবলে পড়েছে। খাল-বিল উপচে জল গঙ্গায় পড়ছে। ফলে গঙ্গার জল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে কোন্নগর, চুঁচুড়া পুর-এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষদের দুর্ভোগে ফেলেছে। ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন আরামবাগ, খানাকুল, পুরশুড়া, তারকেশ্বর, জাঙ্গিপাড়া, গোঘাটের কয়েক হাজার মানুষ। আরামবাগে এসে বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে গিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার নির্দেশের পরই দিনরাত এক করে বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে হুগলি জেলা প্রশাসন ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ শুক্রবার সকাল থেকেই নৌকোয় ঘুরে ঘুরে দুর্গত মানুষদের কাছে পৌঁছে তাঁদের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষরা জানাচ্ছেন, ভোটের আগে মিতালি বাগ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে সমস্ত বিপদে-আপদে মানুষের পাশে থাকবেন। এখন সেই বিপদের দিনে সত্যিই এলাকার সাংসদকে পাশে পাওয়া যাচ্ছে। আগে কোনও সাংসদকে এভাবে মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে কাজ করতে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও সকাল থেকেই হুগলি জেলা পরিষদের তরফে আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট, তারকেশ্বর, জাঙ্গিপাড়া প্রভৃতি এলাকায় দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করা হয়েছে। ছিলেন হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক অরিন্দম গুঁই, জেলা সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ড. সুবীর মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। দুর্গত মানুষদের পর্যাপ্ত পরিমাণে রান্না করা খাবার-সহ মুড়ি, চিঁড়ে, মুড়কি, গুড়, জামাকাপড়, ত্রিপল বিতরণ করা হয়। মুণ্ডেশ্বরী এবং দ্বারকেশ্বর নদী সংলগ্ন নিচু এলাকায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার করে বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে আনা হয়েছে। তাঁদের পরিশুদ্ধ পানীয় জল এবং ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে চুঁচুড়া এবং কোন্নগরে গঙ্গার জল প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েছে। সেই মানুষদের পাশে দাঁড়াতে সাহায্য নিয়ে শুক্রবার হাজির হয়েছেন কোন্নগরের পুরপ্রধান স্বপন দাস এবং চুঁচুড়ার পুরপ্রধান অমিত রায়-সহ অন্যরা।