প্রতিবেদন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিচ্ছেন তিনি কে এবং কী। ফেসবুক বার্তায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সাধারণ জনতার বন্ধু ও অভিভাবক বলে আখ্যায়িত করলেন সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সুখ্যাতি করেই শুধু ক্ষান্ত হননি, বাংলার মার্কসিস্ট ও হিন্দুত্ববাদী নেতাদের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন-শুরু বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যাল, চলবে পাঁচদিন
ফেসবুকে তিনি লেখেন, ক’দিন আগেও যারা সদলে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করছিল, চটিপিসি, শকুনপিসি, চটিবুড়ি কালীঘাটের ময়না বলে অনর্গল চ্যাঁচাচ্ছিল, এই মুহূর্তে তারা কোথায়। এই রাজ্যের কোন বন্যাদুর্গত এলাকায় গিয়ে তারা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে! মার্কসিস্ট আর হিন্দুত্ববাদীদের চটিপিসি কিন্তু চটি খুলে খালি পায়ে এক হাঁটু বন্যার পানিতে গ্রামে গ্রামে দেখে বেড়াচ্ছেন ক্ষতির বহর। সতর্ক করে দিচ্ছেন গ্রামবাসীদের— জল আরও বাড়তে পারে। তারপর তিনি একহাত নেন শহরের বিশেষ শ্রেণির ব্যক্তিত্বদের। তিনি লেখেন, এই শহরের স্মার্ট ইংলিশ বলা প্রসাধন-ঘষা পপুলার ব্যক্তিত্বরা কোথায় গেল! কোথায় গেল বিদ্রোহীরা! বন্যাদুর্গত এলাকায় এলাকায় তারা কেউ নেই কেন? আমার বন্ধুস্থানীয় দু’একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিকে ফেসবুকে লিখতে দেখেছি, মমতা রাক্ষুসী। এরা নিজেদের পরিচয় দেয় মার্কসবাদী বলে, সিপিএম সমর্থক বলে। গা ঘিন ঘিন করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু দেখিয়ে দিচ্ছেন তিনি কে ও কী। এরপর নিজ প্রসঙ্গে বলেন, এই বুড়ো বয়সে আমি কারওর কোনও কাজে লাগতে পারব না। শরীরটাও গেছে। কিন্তু এটা জেনে মরব যে, এক সাধারণ-অসাধারণ বাঙালি মহিলাকে দেখেছিলাম যিনি নানা বৈপরীত্যে, কন্ট্রাডিকশনে ভরা রক্তমাংসের এক নেতা, সাধারণ জনতার বন্ধু, অভিভাবক। বামফ্রন্টবিরোধী গণ আন্দোলনের নেতা মহাশ্বেতা দেবী আমায় সেই সময়ে বলেছিলেন— কবীর রে, মমতার বুকে মাথা রেখে কাঁদা যায়। তিনি লেখেন, আমি জানি অনেক প্রগতিশীল উচ্চশিক্ষিত বাঙালি আমার নামে শুধু গালাগালি দেয়, দিয়ে যাবে। ওটাই তাদের স্বধর্ম। কিন্তু আমার মৃত্যুর অনেক পরেও আমার রেখে যাওয়া কথা-সুর-তাল-ছন্দের চিহ্নগুলো থেকে যাবে। জয় বাংলা! জয় বাংলা ভাষা!