সংবাদদাতা, সিউড়ি : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফরের আগেই সোমবার দেউচা পাঁচামি প্রকল্পের আওতায় আরও নয়জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন জেলাশাসক বিধান রায়। ধীরে ধীরে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এশিয়ার এই দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাশিল্প গড়ার কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই ঘোষণার পরেই বিরোধীরা মাঠে নেমে পড়ে প্রকল্প বানচাল করার উদ্দেশ্য নিয়ে। দেউচা পাঁচামি এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসী মানুষদের ভুল বুঝিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে অশান্তি লাগানোর ছক কষে বাম-রাম। শিল্পবিরোধী অপশক্তিদের কাজে লাগিয়ে গদ্দার অধিকারী ও সিপিএমের একাধিক নেতা এলাকায় গিয়ে আন্দোলন তৈরি করে কয়লাশিল্পের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন-উত্তপ্ত লেবানন-ইজরায়েল: ধুলিসাৎ হিজবুল্লার ৩০০ ঘাঁটি, মৃত ১৮২
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক বিচক্ষণ পদক্ষেপ বিরোধীদের সব ষড়যন্ত্র ভেঙে দেয়। জেলা প্রশাসনের সর্তকতামূলক পদক্ষেপ বিরোধীদের ধরাশায়ী করে দেয়। দেউচা পাঁচামির সাধারণ কয়লাশিল্পের জন্য সরকারকে স্বইচ্ছায় জমি দেন। জমিদাতা পরিবারদের সরকারি চাকরির পাশাপাশি আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানান, প্রায় দেড় হাজার চাকরি দেওয়া হয়েছে জুনিয়র কনস্টেবল এবং গ্রুপ ডি পদে। ধাপে ধাপে আরও জমিদাতা পরিবারদেরকে চাকরি দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার ৯ জনের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। সদ্য হাতে নিয়োগপত্র পাওয়া হামিদা সুলতানা জানান, আমি অত্যন্ত খুশি। ধন্যবাদ জানাই মুখ্যমন্ত্রীকে।